সোমবার - মে ২০ - ২০২৪

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য

কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে গত দুই বছর ধরে দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ও একাধিকবার বিচ্ছিন্নবাসের কারণে কানাডিয়ান তরুণরা যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছেন তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে কানাডিয়ান শিশুদের ওপর মহামারি ঠিক কি ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা নিরূপণের যথার্থ মাধ্যম নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা পরিমাপের মানদন্ড নির্ধারণ করা গেলে সমস্যাটির ব্যাপকতা অনুধাবন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।

- Advertisement -

শিশু স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় সংগঠন চিলড্রেন’স হেলথকেয়ার কানাডার তরফ থেকে বলা হয়েছে, আত্মহত্যার চেষ্টা, মাদক গ্রহণ ও জটিল ইটিং ডিজঅর্ডার নিয়ে বেশি সংখ্যক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

২০২০ সালেই তরুণ কানাডিয়ানরা সহায়তা চেয়ে ৪৬ লাখ বার কিডস হেল্প ফোনের দ্বারস্থ হয়েছে। ২০১৯ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৯ লাখ। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির অধ্যাপক কিথ ডবসন বলেন, হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়ার তথ্য ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা পরিমাপে দেশে আার কোনো মানদন্ড নেই। এমনকি একই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার মধ্যেও ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ ও সংস্থা মানসিক স্বাস্থ্য পরিমাপে ভিন্ন ভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকে। এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার হার কত এবং স্থানভেদে তুলনাটা কেমন হবে তা জানাটা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে।

স্বাস্থ্য সেবায় বিনিয়োগের ইতিবাচক ফলাফল নিশ্চিত করতে মাণদন্ড থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি কোনো মানদন্ড না থাকে তাহলে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে থাকা লোকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে কিনা তা আপনি নিরূপন করতে পারবেন না।

নিয়মিত জরিপ অথবা এ ধরনের উপাত্ত সংগ্রহ সঠিকভাবে করা হলে পরিকল্পনা সহজ হবে।

This article was written by Rezaul Haque as part of the Local Journalism Initiative.

- Advertisement -

Read More

Recent