রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

লং-টার্ম কেয়ারের বিধিনিষেধ শিথিলে সতর্ক সরকার

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তা সত্ত্বে লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোতে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিলের বিষয়টি সরকার সতর্কতার সঙ্গে দেখছে বলে জানিয়েছেন অন্টারিওর লং-টার্ম কেয়ার বিষয়ক মন্ত্রী পল ক্যালান্দ্রা।

- Advertisement -

লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোর বিধিনিষেধ শিথিলের প্রক্রিয়া সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। পল ক্যালান্দ্রা এ প্রসঙ্গে বলেন, ভ্যাকসিনেশন কেয়ার হোমগুলোতে ওমিক্রন ঢেউ কমাতে ভ‚মিকা রেখেছে। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে বেশি সংখ্যায় মারা যাওয়া বাসিন্দাদের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেন নি তিনি।

ওমিক্রন ঢেউ চলাকালে জানুয়ারিতে লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোতে মৃত্যুহার বেড়ে যায়। গত দুই সপ্তাহে মারা গেছেন ১৮৫ জন। সোমবার পর্যন্ত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ২৯০টি বা ৪৬ শতাংশ কেয়ার হোমে, গত সপ্তাহের তুলনায় যা কিছুটা কম।

এই সপ্তাহের শুরু থেকে লং-টার্ম কেয়ার হোমের বাসিন্দারা আগের দুইজনের পরিবর্তে চারজন কেয়ারগিভার পাচ্ছেন। যদিও একসঙ্গে দেখতে পারবেন দুইজন। যেসব বাসিন্দা তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন সোশ্যাল ডে ট্রিপও শুরু করতে পারছেন। তবে সাধারণ দেখাশোনা ও অন্যান্য সামাজিক কর্মকান্ড এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি। প্রদেশেল সতর্কতার কারণে এটা শুরু হয়নি বলে জানান ক্যালান্দ্রা।

অন্টারিওর মিসিসোগায় তহবিল ঘোষণাকালে তিনি বলেন, যদিও সূচকগুলো ভালোর দিকে আছে তারপরও সতর্কতা খুব বেশি জরুরি বলে আমরা মনে করি।

লং-টার্ম কেয়ার হোমের সব কর্মীর তৃতীয় ডোজ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হলেও ওমিক্রনের সংক্রমণ ও অন্যান্য অসুবিধার কারণে তা মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও প্রদেশের লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোতেই এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনেশনের হার সবচেয়ে বেশি। গত সপ্তাহের শেষ দিক পর্যন্ত লং-টার্ম কেয়ার হোমের ৮৪ শতাংশ কর্মী তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন। বাসিন্দাদের মধ্যে তৃতীয় ডোজ গ্রহীতার হার ৯১ শতাংশ এবং এখন তারা চতুর্থ ডোজ গ্রহণও শুরু করেছেন।

ক্যালান্দ্রা বলেন, তৃতীয় ডোজ বাসিন্দাদের মধ্যে নাটকীয় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ভ্যাকসিনেশনের কারণে লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোতে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

ওমিক্রনের কারণে মৃত্যু হলেও তা ভ্যাকসিন আসার আগের ঢেউগুলোর উচ্চতায় পৌঁছায় নি। তবে সংখ্যাটি বাড়তির দিকে রয়েছে।

প্রদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কারণে মারা গেছেন লং-টার্ম কেয়ার হোমের ১৮ জন বাসিন্দা। তবে তাদের ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেন নি ক্যালান্দ্রা। শুধু বলেছেন, প্রতিদিনই বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

সংক্রমিত লং-টার্ম কেয়ার হোমের সংখ্যা কমে এলেও মানদন্ডগুলো সঠিকভাবে পরিপালন করা হচ্ছে কিনা তা যাচাইয়ে পরিদর্শ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান ক্যালান্দ্রা। সামনের মাসগুলোতে আরও বেশি সংখ্যক পরিদর্শক নিযুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

অন্টারিওর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার হাসপাতালগুলো কোভিড আক্রান্ত রোগী ছিলেন ২ হাজার ১৫৫ জন। এর মধ্যে ৪৮৬ জন ছিলেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। সব হাসপাতাল তাদের তথ্য দেয়নি। তবে আগের সপ্তাহের তুলনায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি যে কমেছে সেটা স্পষ্ট। আগের সপ্তাহে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ২ হাজার ৯৮৩ জন। আর নিবিড় পরিচযৃা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৫৫৫ জন। এদিন আরও ১১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে প্রদেশ।

This article was written by Rezaul Haque as part of the Local Journalism Initiative.

- Advertisement -

Read More

Recent