রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

ভালো সময়ে অন্টারিও

ডা মুর বলেন আমি মনে করি ওমিক্রনের সংক্রমণের চুড়া আমরা পার করে এসেছি তবে এখনও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে এ কারণেই মাস্ক পরিধানের মতো স্বাস্থ্যবিধি এখনও বলবৎ আছে

ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণের সবচেয়ে খারাপ সময় অন্টারিও অতিক্রম করে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রদেশের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগেই আমরা সংক্রমণের চুড়ায় পৌঁছে গেছি। হাসপাতালে রোগী ভর্তি বৃদ্ধি তার সঙ্গেই সম্পর্কিত, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে যা সর্বোচ্চ ছিল। এরপর থেকেই হাসপাতালে রোগী ভর্তি কমছে।
ডা. মুর বলেন, আমি মনে করি ওমিক্রনের সংক্রমণের চুড়া আমরা পার করে এসেছি। তবে এখনও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। এ কারণেই মাস্ক পরিধানের মতো স্বাস্থ্যবিধি এখনও বলবৎ আছে। মাস্ক পরিধানের বাধ্যবাধকতা কবে নাগাদ প্রত্যাহার করা হবে তা নির্ধারণে সংক্রমণের গতিবিধির ওপর আমি ও আমার দল সার্বক্ষণিক নজর রেখে চলেছি।
ভ্যাকসিন পাসপোর্টের বিষয়ে ডা. মুর বলেন, এর উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে এবং ১ মার্চ থেকে সব অনাবশ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাকসিনের পক্ষে প্রমাণপত্র প্রদর্শন বাতিলে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বিজ্ঞান। এর উদ্দেশ্য ছিল অন্টারিওবাসীকে আরও সুরক্ষা দিতে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি করা। ভ্যাকসিন নিতে এগিয়ে আসা সব অন্টারিওবাসীকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের সুরক্ষার যে উদ্দেশ্য তা বাস্তবায়ন হয়েছে এবং অন্য জনস্বাস্থ্য বিধিনিষেধও সময়মতো প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
ডা. মুর বলেন, প্রদেশের কলেজ ও ইউনিভার্সিটি এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় ভ্যাকসিনেশন নীতির আর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। জনগণের পর্যায়ে এসব বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এসব ক্ষেত্রেও তা তুলে নেওয়া হবে।
ডা. মুর যেদিন এসব কথা বলেন একই দিন অন্টারিও জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরও শিথিল করেছে। এর অংশ হিসেবে রেস্তোরাঁ, জিম ও সিনেমা হলে ধারণক্ষমতার সীমা তুলে নেওয়া হয়েছে।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে অন্টারিওর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ১ হাজার ৩৪২ জন, ৪ জানুয়ারির পর যা সর্বনি¤œ। সেই সঙ্গে আইসিইউতে রোগী ভর্তিও অব্যাহতভাবে কমছে।
প্রদেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসলেও নতুন করে কোনো জনস্বাস্থ্য বিধিনিষেধ আরোপের কোনো পরিকল্পনা অন্টারিওর নেই বলে জানিয়েছেন ডা. কিয়েরান মুর। তিনি বলেন, আমাদের খুবই শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজন হলে আমাদের পিসিআর পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়াতে পারি। নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্টকে আমরা মোকাবেলাও করতে পারবো। আমাদের জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার অবকাঠামো ভালো অবস্থায় রয়েছে। আমার মনে হয়, আমরা এখন যথেষ্ট ভালো অবস্থানে রয়েছি।
This article was written by Rezaul Haque as part of the Local Journalism Initiative.

- Advertisement -

Read More

Recent