রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

কিঞ্চিত সফেদ ইঙ্গিত

হেথায় হোথায় এখনো দেখা যায় কিঞ্চিত সফেদ ইঙ্গিত। তাদের সম্পূর্ণ বিদায়ের অপেক্ষায় ঋতুর রানওয়েতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সবুজ সবুজ ঘাস। শেষ চিহ্নটুকু নিয়ে কি করুণ কোণঠাসা হয়ে আছে হাড় কাঁপানো শীতের পাঁজর। যাব যাব করেও ওরা দেখে নিচ্ছে আমাদের বুট জুতো, হাত মোজার শেষ ব্যবহার।
বলতে কষ্ট হচ্ছে তবু বলতে হচ্ছে। হে বন্ধু বিদায়। আবার দেখা হবে আগামী পৌষ মাঘ মাসে। হয়তো বরফ হয়ে জমবে না কোনদিন সোনার বাংলায়। কে জানে, হয়তো কোন একদিন আসবে বুড়িগঙ্গার সাথে সন্ধি করে মেঘের পালকে। ততদিন না হয় তোমাকে বরণ করার জন্য অপেক্ষা করবো পৃথিবীর উত্তর প্রান্তে। যার পর আর কোন দেশ নেই। নেই কোন মহাদেশ।
খুব ভালো হতো যদি শেষ বরফ চিহ্ন গলে যাওয়ার দৃশ্য বসে বসে দেখা যেতো। হয়তো তাদেরও কষ্ট হয় মাটিতে মিশে যেতে। হয়তো মানুষের মতো কান পেতে থাকে মাটির গভীরে। কে ডাকে! কেউ কি ডাকে?
সব প্রাণ এক সময় কষ্ট পায়। আমের বকুলের মত কষ্টগুলো বড় হয়। এই যে সবুজ সবুজ ঘাস আর নতুন পাতাদের প্রসব বেদন কেউ কি তা শুনতে পায়। এই যে দেখা না দেখার ব্যথা ক’জনে বুঝতে পারে? অথচ এমনই হয়। তাই হয়ে আসছে। একজনের আগমনে, অন্যের প্রস্থান।
তোমার সাথে কানে কানে সঙ্গোপনে কিছু কথা হলে ভালো হতো, হে সবুজ সবুজ ঘাস।
থাক, কৌতূহল আপাতত জমা থাক। এখন তোমার বাহারি সময়।
জমা থাক দুঃখ বেদনা যত। হয়তো আসবে ক্ষণ, ফির বছর। নতুন তুষার আগমনে। একাকীত্বে।
ঋতুতে ঋতুতে দেখা হয় না কখনো। শুধু চলে যাবার দাগ অঙ্কুরিত।

- Advertisement -

স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent