রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন?

এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আমেরিকা এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির কাছ থেকে তেমন কোন সাড়া না পেয়ে পুতিনের সাথে একধরনের আপোষরফা করে ফেলতে মোটামুটি সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি ইউক্রেনের সৈন্য এবং যোদ্ধাদের অস্র সরবরাহ করতে রাজী হয়েছে। ফলে জেলেনস্কি যে সাহায্য প্রত্যাশা করেছিলেন সেই কাংখিত সাহায্য অচিরেই পেতে যাচ্ছেন খুব সম্ভব। ফলে আপোষরফার পথ থেকে তিনিও এখন সরে দাড়াতে পারেন।
ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যাবার ঝুঁকি আছে।
এর আগে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়াবার জন্য জেলেনস্কির অনেক আব্দার উপেক্ষা করেছিলেন। ফলে জেলেনস্কি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির উপর বেশ অসন্তোষ্ট ছিলেন। তিনি তার সেই অসন্তোষ চেপে রেখেননি। অকপটে তার সব বক্তিতাতেই তিনি তার অসন্তোষের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি এমনও বলেছেন, ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত হবার জন্য তিনি আর অনুরোধ করবেন না।
এখন ন্যাটোর এই হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তন সমঝোতার পথকে ধূলিসাৎ করে দিবে।
ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি চায় না রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে কোন সমঝোতা হোক।
এর কারন হচ্ছে, সমঝোতা হলে রাশিয়া লাভবান হবে। তখন রাশিয়া বলে বেড়াবে ইউক্রেন তাদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে। রাশিয়া তখন আবার বিশ্বব্যাপী সুপার পাওয়ার হিসাবে একটি বার্গেনিং ফ্যাক্টরে পরিনত হবে। সমঝোতা হলে পুতিন, জেলেনস্কি দুজন মিলে গিয়ে পশ্চিমাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারে।
এই যুদ্ধ জিয়ে রাখতে পারলে পশ্চিমাদের অনেক লাভ। রাশিয়াকে দীর্ঘমেয়াদী একটি কোনঠাসা অবস্থায় রাখা যাবে। রাশিয়াকে নানা রকম অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফেলে দেশটির অর্থনীতি ধসিয়ে ফেলা যাবে। যুদ্ধ জিয়ে রেখে অস্র বানিজ্য করা যাবে। আর এই অঞ্চলে যুদ্ধ লেগে থাকলে তাদের খুব একটা অসুবিধা নেই বরং অনেক দিক দিয়ে লাভবান হবার সম্ভাবনা।
তাই তারা এখন সমঝোতার পথকে রুদ্ধ করে দেওয়ার জন্য ইউক্রেনে অস্র সরবরাহের একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
তাহলে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন?

- Advertisement -

স্কারবোরে, অন্টারিও, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent