রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

সংস্কৃতি-সংবেদী স্বাস্থ্যসেবার মূল্য শিখিয়েছে মহামারি

আদিবাসীদের জন্য স্ংস্কৃতি-সংবেদী ও কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার মূল্য কী মহামারি তা শিখিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও সম্মুখসারিতে কাজ করা সংস্থাগুলো। এমনকি মহামারির পরও তা অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।

- Advertisement -

২০২০ সালের ১২ মার্চ ম্যানিটোবায় যখন প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শানক্ত হয় তখন মা মাউয়ি উই চি ইটাটা সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানকে তাদের দরজা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। নিয়মিত অনুষ্ঠানগুলো যখন বাতিল অথবা অনলাইনে স্থানান্তরিত হতে থাকে তখন প্রতিষ্ঠানটি কমিউনিটির সাহায্যে মনোযোগ দেয়। এর একটা স্থানে রেপিড টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়। একটি বা দুটি শহুরে আদিবাসী ভ্যাকসিনেশন ক্লিনিকও পরিচালনা করে তারা। ক্লিনিকগুলো কমিউনিটি ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার মধ্যে একটা সেতুবন্ধ তৈরি করে।

সেন্টারের জনসংযোগ ব্যবস্থাপক রোজালিন বাউচা বলেন, এই বাধা ভাঙা খুবই শক্ত। কারণ, এটা খুবই পদ্ধতিগত এবং সবার ধারণায় গভীরভাবে প্রথিত। আমাদের বিশ্বাস, অনেকেই আছেন যারা পরীক্ষার জন্য অথবা ভ্যাকসিনের জন্য এখানে আসবেন। কারণ, বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো আমরা দূর করেছি। তা সে পরিবহন বলুন বা বুকিংয়ের বাধাই বলুন।

পাশাপাশি প্রশ্ন করার সাংস্কৃতিকভাবে একটি নিরাপদ স্থান, ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ও খাবার পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে ক্লিনিগুলো। আবাসিক স্কুল ব্যবস্থা ও আদিবাসীদের ওপর ওষুধের পরীক্ষা-নিরীক্ষার অতীতের তীক্ত অভিজ্ঞতার ফলে সাধারণ সাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর আদিবাসীদের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হয়েছে।

ম্যানিটোবা ফার্স্ট নেশন্স মহামারি ব্যবস্থাপনা দলের চিকিৎসা বিষয়ক প্রধান ডা. মারসিয়া অ্যান্ডারসন বলেন, অন-রিজার্ভ লোকজনের তুলনায় অফ-রিজার্ভ লোকজনের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের হার কম। এক্ষেত্রে নিজেদের কমিউনিটির জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আদিবাসীদের সরাসরি আরও ভ‚মিকা রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। অ্যান্ডারসন বলেন, এই প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমের মতো আদিবাসী নেতৃত্ব ও আদিবাসী স্বাস্থ্যসেবা না থাকলে এটা কঠিন।

- Advertisement -

Read More

Recent