রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

সমঝোতা নাকি যুদ্ধ?


গতকাল পর্যন্ত মনে হয়েছিল রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়ে যাচ্ছে। দুই পক্ষই অনেকদূর অগ্রগতি হয়েছিল বলে আভাস দিয়েছিল। রাশিয়াও ইউক্রেনের রাজধানী কিভ থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের আভাসও দিয়েছিল। সব মিলিয়ে শান্তির এক সুবাতাস বইছিল।
কিন্তু একদিনের ব্যবধানে সব চিত্র পাল্টে গেলো হঠাৎ করেই। রাশিয়া de-escalation থেকে সরে গিয়ে ইউক্রেনের উপর আবার হামলা জোরদার করেছে। এতে মনে হচ্ছে একটি পক্ষ এই সমঝোতা যাতে না হয় তার জন্য নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে।
সেই পক্ষটি আসলে কে তা যে কেউ ধারণা করতে পারেন। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে সমঝোতা হলে এই পক্ষটির কোন লাভ হবে না বরং এই পক্ষটি যার ক্ষতি চাচ্ছে, যাকে কোনঠাসা করতে চাচ্ছে সেই রাশিয়া লাভবান হয়ে যাবে।
এই পক্ষটির আরেকটি ভয় হচ্ছে, রাশিয়া ইউক্রেন মিলে গেলে দুটি দেশ সম্মিলিতভাবে তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারে। কারন, জেলেনস্কি এই পক্ষটির কাছে দেন দরবার করে তেমন কিছু পায়নি। তিনি নিজেকে তাদের দ্বারা প্রতারিত ভাবতে পারেন। তিনি ভাবতে পারেন তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। এমন ভাবনা থেকে ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে মিলে গিয়ে পশ্চিমাদের উপর প্রতিশোধ নিতে পারে।
তাই অনেক রকম হিসাব নিকাশ করে পশ্চিমারা এই সমঝোতা হতে দিবে না এটাই স্বাভাবিক।
এই সমঝোতা সফল করতে গেলে জেলেনস্কিকে সবাগ্রে পশ্চিমাদের প্রভাব বলয় থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তার কারন হচ্ছে, যখনই রাশিয়া ইউক্রেন সমঝোতার কাছাকাছি চলে আসে ঠিক তখনই পশ্চিমারা জেলেনস্কিকে দিয়ে এমন কিছু করান কিংবা বলান যার কারনে আবার নতুন করে দূরত্ব বেড়ে যায়। এই যে পেছন থেকে সূতা টানাটানি যতক্ষন থাকবে ততক্ষন কোন সমঝোতা হতে পারবে না।
এই সমঝোতার পথে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে জেলেনস্কি। তিনি একেকবার একেক অবস্থান নিচ্ছেন। একবার সব মেনে নিচ্ছেন আবার পরোক্ষনেই তার থেকে সরে যাচ্ছেন। এতে বোঝা যায় তিনি কারো দ্বারা নেচে চলেছেন।

স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent