রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

বিদায় আবদুল গাফফার চৌধুরী

আবদুল গাফফার চৌধুরী

মাতৃভূমি থেকে থেকে বহু দূরের দেশে বাস করেও বাংলাদেশটাকে তিনি দেখতে পেতেন আদ্যোপান্ত। বাংলাদেশে বসবাস করেও লেখক-সাংবাদিকরা রাজনৈতিক ঘনঘটার বহু জরুরি অনুষঙ্গ কিংবা টার্নি পয়েন্টকে মিস করলেও তাঁর অনুসন্ধানী চোখে সব কিছুই ধরা পড়তো। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে তিনি ছিলেন অতন্দ্র প্রহরীর মতো।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বাংলাদেশ বিরোধীদের ব্যাপারে তিনি ছিলেন আপসহীন কলম সৈনিক। আমাদের ভাষা সঙ্গীতটির রচয়িতা হিশেবে অমরত্ব লাভ করেছিলেন তরুণ বয়েসেই।

- Advertisement -

লন্ডনে আজ সকালে অনন্তের পথে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি সেই লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী।

বাংলা বাঙালি বাংলাদেশ আপনাকে ভুলবে না প্রিয় গাফফার ভাই। কতো স্মৃতি আপনার সঙ্গে এক জীবনে!

সেইসব স্মৃতি চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মতো জীবন্ত হয়ে চোখের সামনে উপস্থিত হচ্ছে বারবার। বিশেষ করে একটি ছবির দিকে তাকিয়ে কতোবার যে অশ্রুসজল হতে হলো আজ!

২০০৪ সালের অক্আটোবরে আপনি টরন্টো এসেছিলেন লন্ডন থেকে। আপনার সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রথম প্রেস সেক্রেটারি আমিনুল হক বাদশা। লেখক বন্ধু মোল্লা বাহাউদ্দিনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন আপনি। ০৪ অক্টোবর দুপুরে আমি আর সুমন রহমান গিয়েছিলাম সেই বাড়িতে। তখনকার একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে আপনার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন মোল্লা বাহাউদ্দিন, তারপর হাস্যোজ্জ্বল আমার কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে হাস্যোজ্জ্বল আমিনুল হক বাদশা। এই একটা ছবির ফ্রেমে লুকিয়ে আছে অনেক কষ্ট অনেক বেদনা।

আমি ছাড়া আপনারা তিনজনই আজ প্রয়াতের তালিকায়…।

প্রিয় গাফফার ভাই, শান্তিময় হোক আপনার এই অনন্তযাত্রা।

পরম শান্তিতে থাকুন অমৃতলোকে।

 

অটোয়া, কানাডা

 

- Advertisement -

Read More

Recent