রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

কোন মুগ্ধতা নেই

ছবি নাথান ডুমলাও

ইচ্ছে করে সমস্ত ঘুম এক পাশে রেখে
কারো চোখে মুগ্ধতা খুঁজি।
এই মুগ্ধতা যেন তেন মুগ্ধতা নয়।
চোখের ক্লান্তি, মনের ক্লান্তি দূর করে যে,
সে মুগ্ধতা আমি বারংবার খুঁজি।
কিন্তু পাই না। কিছুই পাই না।
এত এত চোখের ভিড়ে ক্লান্তি দূর করার মতো কোনো অক্ষি খুঁজে পাই না।
এক বিকেলে আমি বসে ছিলাম উদাস মনে
আমার নোটবুকের শব্দগুলো বার বার তিরস্কার করে বলছে
“ওরে। উদাস মনে বসে থাকা পাগল হওয়ার লক্ষণ”
ভালো ভালো শব্দ লিখ”
এক মুহূর্তে আমার মনে হলো তাহলে শান্তি খুঁজতে গিয়ে আমি কী ভুল পথে এগোচ্ছি?
তার পর কেটে গেল কয়েকদিন, সপ্তাহ, মাস আর বছর।
একদিন ভিড়ের মাঝে আমি এক অক্ষিযুগলের দেখা ফেলাম।
সে চোখ তো চোখ নয় যেন সদ্য প্রেমে পড়া কোনো তরুণের লুকিয়ে রাখা কবিতা।
নব্য লেখক চাইলে হাজার হাজার উপন্যাস লেখতে পারবে সে টলমলে আঁখিযুগল দিয়ে।
বির্তাকিক পারবে কোনো স্কীপ্ট ছাড়া অনগড় কথা বলে যেতে।
কে বলে? ট্রয় নগরীর হেলেনের চোখ সুন্দর?
তাকে এনে দেখাও, সে চোখের কাছে ক্লিওপেট্রা কিংবা কুনালের চোখ কিছুই না।
অতঃপর,
দিন দুনিয়া ভুলিয়া,
আমি আমার নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিংড়ে দিলাম তাহার কাছে।
আবারও কেটে গেলো কয়েকদিন, সপ্তাহ,মাস, বছর।
একদিন সকালে আমি অনুভব করলাম এখন আর সে চোখে ক্লান্তি দূর হয় না।
শান্তি খুঁজে পাই না।
না দেখতে পাই রংধনুর সাতরং,
আর না দেখতে পাই বিশ্ব সংসার তছনছ করে আনা সেই একশো আটটি পদ্মফুল।
আর পাঁচ টা সাধারণ মানুষের চোখ।
কোনো বিশেষত্ব নেই।
সে চোখ স্বচ্ছ পানির মতো টলমলে না।
সে চোখ এখন শান্ত। স্থির।
কোথায় গেলো সে কুনাল? হেলেন? আর মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রা” এর যত উপমা?
সব মিথ্যা। সব মিথ্যা।
আবারও ক্লান্তি তে আমি ঘুমিয়ে যাচ্ছি।
চারপাশে কোনো মুগ্ধতা নেই। কেউ নেই।
ঘুম আর গভীর ঘুমে আমি তলিয়ে যাচ্ছি।

ইস্টইয়র্ক, অন্টারিও, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent