শুক্রবার - মে ১০ - ২০২৪

বাবাদের প্রতি সন্তানের ভালবাসা থাকুক প্রতিক্ষণ

ছবি কেলি সিকামা

ইচ্ছে থাকলেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় বেশি দূর যেতে পারেননি। তাতে কী হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে বেশ সফল। বাবা হিসেবেও। সন্তানদের সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। প্রথম ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে, আরেকজন বুয়েট থেকে পাশ করে চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। আরও দু’জনও অন্য সর্বোচ্চ বিদ্যাপিটে শিক্ষকতা পেশায়। অন্যরাও সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে যার যার পেশায় সফল। আব্বার মাথাব্যথা ছিল শুধু এ অধমরে নিয়ে।
পড়ালেখা আমার ভাল লাগতো না। এগার/বার বছর বয়সে চা বা মুদি দোকানের কর্মচারি হতে চেয়েছিলাম। চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। মারা যাওয়ার আগে সৃষ্টিকর্তার কাছে দু’হাত তুলে দোয়া করেছেন আমার জন্য। সেই দোয়া কাজে লেগেছে তা এখন আমি বুঝি। না হয়, এত দূর আসতে পারতাম না।
আমার পনের বছর বয়সে মারা গেছেন আব্বা। তিনি শুধু একজন সফল বাবা ই নন, ব্যবসায়ী, পরোপকারী এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী ছিলেন। টরন্টোতে দেখি এক বা দুসন্তানকে প্রাতিষ্ঠানিক ও নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে অনেকে সফল হন না। অথচ প্রযুক্তিবিহীন, মফস্বলে একজন পিতা কতবড় উদাহরণ হতে পারেন তা ভাবলে আমি রীতিমত অবাক হই।
আমি বাবা দিবসের সমর্থক নই। তবে বাবাদের নিয়ে অনেকের পোস্টগুলো আমার ভীষণ ভাল লেগেছে। হ্রদয় ছুয়েঁছে। তাই না লিখে পারলাম না। সব বাবাদের প্রতি সন্তানের ভালবাসা আজকের মতই থাকুক প্রতিক্ষণ, প্রতিমুহুর্ত। আমার আব্বাসহ পরলোকগত সব বাবাদের সর্বোচ্চ প্রতিদান যেন মহান রাব্বুল আলামিন দান করেন, সেটাই প্রার্থণা করছি।

স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent