বাচ্চা লালনপালন করতে কী করা উচিৎ আর কী উচিৎ না তা নিয়ে সকল সমাজেই নানা তর্কবিতর্ক প্রচলিত আছে। সম্প্রতি একজন লেখক সত্তর জন সফল মানুষের মাবাবাদের স্বাক্ষাৎকার নিয়ে একটি বই লিখেছেন। তার বইয়ের নাম হচ্ছে ” রেইজিং এন এন্ট্রাপ্রেনর”। লেখকের নাম হচ্ছে: মারগোট মাকাল বিশনো। তিনি তার এই স্টাডিতে অনেক গুরুত্বপুর্ন জিনিস পেয়েছেন। তার মধ্যে চারটিকে তিনি বলেছেন খুবই গুরুত্বপুর্ন।
তিনি দেখেছেন যে যে চারটি বিষয় সফল মানুষদের বাবা কখনো তাদের সন্তানদের সাথে করতনা।
১। তাঁরা তাঁদের বাচ্চাদের শখের বিষয়ে কখনো কোন বাঁধা দিতেননা। তাঁরা কখনোই এটা মনে করত না যে, তাঁদের সন্তানরা তাদের শখের পিছনে যে সময় ব্যয় করছে তা হুদাহুদি।
২। তাঁরা তাদের বাচ্চাদের জন্য সব সিদ্ধান্ত নিয়ে নিত না। বরং তাঁরা তাঁদের বাচ্চাদেরকে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজে নিজে নিতে সহায়তা করত।
৩। তাঁরা তাঁদের সন্তানদেরকে আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে শুধু পড়ালেখা বা ডিগ্রি অর্জনের জন্য চাঁপাচাপি করতেন না।
৪। তাঁরা কখনোই তাঁদের সন্তানদের টাকার হিশাব নিকাশ শিখাতে ভুলতেন না। তাঁরা টাকার গুরুত্ব বোঝাতেও ভুলতেন না। সন্তানরা কোন কিছু চাওয়ার সাথে সাথেই তা দিয়ে দিতেন না। বরং বলতেন, তুমি যেটা চাচ্ছ তা তোমার জমানো টাকা থেকে কিনে নাও। অথবা টাকা আয় করে তারপর কিনে নাও। এত সন্তানরা টাকার গুরুত্ব বুঝতে পারতো।
দেখা যাচ্ছে, সফল ব্যক্তিদের বাবামাদের কমন বৈশিষ্ট হল: তাঁরা তাঁদের বাচ্চাদের শখকে কোনভাবেই সময় নষ্ট করা মনে করেনা, সন্তানদেরকে তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদেরকে নিতে সাহায্য করে, সন্তানদেরকে শুধুমাত্র পড়ালেখা বা ডিগ্রি অর্জনের দিকে সব সময় ব্যয় করতে দেয়না, আর সন্তানদেরকে টাকার গুরুত্ব বোঝায় ছোট বেলা থেকেই ।
লেখক বলেছেন, নতুন বাবামারা যদি এ বিষয়গুলো তাঁদের সন্তানদের ওপর ছোটবেলা থেকেই প্রাক্টিস করান তাহলে সে বড় হয়ে সফল না হয়ে পারেই না।
সফল মানুষদের বাবা-মা যা করেনা
- Advertisement -