রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

দুই দশকে কানাডায় মৌমাছির সর্বোচ্চ হ্রাস


কানাডার প্রায় অর্ধেক মৌমাছি শীতে টিকতে পারেনি। প্রাথমিক উপাত্ত অনুযায়ী, গত দুই দশকের মধ্যে মৌমাছি হ্রাসের এটা সর্বোচ্চ হার।
কানাডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রফেশনাল এপিকালচারিস্ট পরিচালিত দেশের মৌ চাষিদের মধ্যে এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উুঠে এসেছে। অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্টো গুজম্যান বলেন, এটা খুবই খারাপ খবর।
নানা কারণে মৌমাছির মৃত্যু হতে পারেণ। তবে গুজম্যানের মতে, এর প্রধান কারণ ভারোয়া মাইট নামে এক ধরনের প্যারাসাইট বাগ, যা মৌমাছিকে আক্রমণ করে এবং তাদের কাছ থেকে খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। ২০২১ সালের বসন্তে উষ্ণ আবহাওয়া থাকায় পরগায়ন মৌসুম আগেভাগেই শুরু হয়েছিল এবং মৌমাছির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। উষ্ণ আবহাওয়া একই সঙ্গে ভারোয়া মাইটের বংশ বিস্তারেও ভূমিকা রেখেছিল।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে গুজম্যান বলেন, মৌমাছির বংশ বিস্তার মৌসুমের গোড়ার দিকে শুরু হয় এবং মৌসুমের শেষ দিকে সমাপ্ত হয়। স্বাভাবিকভাবেই ভারোয়ার সংখ্যাও বাড়তে থাকে এবং গ্রীষ্মের শেষ দিকে তা সর্বোচ্চে পৌঁছায়। মৌ চাষিরা ভারোয়া মাইটের বিরুদ্ধে মৌমাছির চিকিৎসা শুরু করেন সাধারণত হেমন্তের গোড়ার দিকে। ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। কারণ, বায়োরা মাইটের সংখ্যা অন্য বছরের তুলনায় বেড়ে যায়।
গুজম্যানের সমীক্ষা অনুযায়ী, গত শীতে কানাডাজুড়ে ৪৬ শতাংশ মৌমাছি টিকতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি মৌমাছি মারা গেছে ম্যানিটোবায় ৫৭ শতাংশ। এছাড়া আলবার্টায় মৌমাছি কমেছে ৫১ শতাংশ। তবে মৌমাছির সংখ্যা সসবচেয়ে কম হ্রাস পেয়েছে নোভা স্কশিয়ায় ১৫ শতাংশ।
শস্যের পরাগায়ন ও মধু উৎপাদন এবং পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য মৌমাছির স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে এগ্রিকালচার অ্যান্ড এগ্রি-ফুড কানাডা। এক বিবৃতিতে বিভাগটি বলেছে, মৌমাছির সহায়তায় উৎপন্ন অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূণ ক্যানোলা বীজ। ২০২১ সালে খামার ফটকে এর মূল্য ছিল ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। মৌমাছির উচ্চ মৃত্যুহার এবং ভারোয়া মাইটের প্রভাব নিয়ে সরকার ও মৌ চাষিরা একত্রে কাজ করছে।
This article was written by Rezaul Haque as part of the LJI

- Advertisement -

Read More

Recent