কোর থেরাপির জন্য অটিজম সংক্রান্ত ৮৮৮ জন শিশুকে ভর্তি করেছে অন্টারিও। তবে পুনরায় চালু করা এ সংক্রান্ত কর্মসূচি এপ্রিলের পর ভর্তি করতে পেরেছে মাত্র ৩০ জন শিশুকে। যদিও হেমন্তের শেষ নাগাদ ৮ হাজার শিশুকে ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
এক টেকনিক্যাল ব্রিফিংয়ে সরকারি কর্মকর্তারা সম্প্রতি বলেন, নতুন ভর্তি প্রক্রিয়ার কারণে কয়েক মাস ধরে ভর্তি কার্যক্রম শ্লথ ছিল। কিন্তু জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে এটি বেড়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। এই সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়বে বলে তারা আশাবাদী।
স্বাধীন ভর্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবন্ধনের আমন্ত্রণ জানিয়ে অভিভাবকদের তারা যে চিঠি দিয়েছে তাতে সাড়া দেওয়ার কম হওয়ায় কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে তাদের। সরকারি তহবিলে শিশুদের প্রাথমিক থেরাপির এটাই নতুন পদ্ধতি।
অন্টারিও অটিজম কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রত্যাশার তুলনায় কম ভর্তির ভ্যাখ্যা পেতে সরকারকে অটিজম কর্মসূচির ইতিহাসের দিকে তাকানো উচিত। এর একটা কারণ হচ্ছে, সবাই আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। চার বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন কোনো কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।
২০১৯ সালের গোড়ার দিকে প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ সরকার এক ঘোষণায় বলেছিল, শিশুদের বয়সভেদে থেরাপির জন্য পরিবারগুলোকে ২০ হাজার বা ৫ হাজার ডলার প্রদানের মধ্য দিয়ে অপেক্ষমাণদের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে চায়। কিন্তু বাবা-মায়ের এতে ক্ষুব্ধ হন এবং বিক্ষোভের ঢেউ ওঠে। কারণ, নিবিড় থেরাপির পেছনে ব্যয় হয় বছরে সর্বোচ্চ ৯০ হাজার ডলার। তাদের দাবি, থেরাপির উচ্চ চাহিদা আছে এমন পরিবারের জন্য সরকারের এই তহবিলের পরিমাণ অর্থপূর্ণ কিছু নয় এবং মৌলিক দক্ষতার শিক্ষা হতে হবে চাহিদাভিত্তিক, বয়সভিত্তিক নয়।
শেষ পর্যন্ত সরকার বাতিল করে এবং নতুন করে শুরু করে। পরবর্তী মন্ত্রী তখন দ্বিগুন বাজেটে চাহিদাভিত্তিক নতুন একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেন। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে একটি পূর্ণাঙ্গভাবে না করে দুই বছরের জন্য পর্যায়ক্রমে করার ঘোষণা দেন।
চার বছরের মধ্যে তৃতীয় মন্ত্রী হিসেবে চিলড্রেন, কমিউনিটি ও সোশাল সার্ভিস মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন মেরিলি ফুলারটন। চাহিদাভিত্তিক কর্মসূচি ভালোভাবেই এগোচ্ছে। পরিবারগুলোর প্রতি আমি আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সন্তানদের ভর্তির ব্যাপারে উৎসাহিত করছি। এই প্রক্রিয়ায় পরিবারগুলোকে সহায়তার জন্য আমাদের বৃহৎ একটি টিম আছে। এটি যাতে অব্যাহত থাকে আমরা সবাই সে ব্যাপারে কাজ করছি।
এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৫৪ হাজার শিশু এই কর্মসূচিতে নিবন্ধিত হয়েছে এবং কোর থেরাপির জন্য তারা অপেক্ষা করছে।
This article was written by Rezaul Haque as part of the LJI