সোমবার - মে ২০ - ২০২৪

উনিশ শ একাত্তরের ভয়াল দিনগুলো আমরা ভুলিনি

এদেশে এখনো পাকি প্রেতাত্মা রয়ে গেছে। তারা এখনো পাকিদের জয়ে আনন্দিত হয়ে ওঠে। দুবাই বিশ্বকাপে পাকিদের জয়ে কিছু কুলাঙ্গারেরর উল্লাস দেখে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেছে।
কুলাঙ্গারগুলো ভুলে গেছে এই পাকি জানোয়াররা কিভাবে আমাদের মা-বোনদের সম্ভ্রম লুটে নিয়েছে।
কি নিষ্ঠুর নির্মমতায় হত্যা করেছে সাধারণ মানুষকে। উনিশ শ একাত্তরের ভয়াল দিনগুলো আমরা ভুলিনি। এন্থনি মাসকারেনসের দ্যা রেইপ অফ বাংলাদেশ বইয়ের একটি অনুচ্ছেদ সবার জন্য তুলে ধরছি।
লেখাটি লিপি আপার দেয়াল থেকে নেয়া।
চলুন দেখি একাত্তরে নির্যাতিত কিরণবালার ভাষ্যে ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম নির্যাতনের ঘটনার একটি নমুনা-
বইয়ের নামঃ The Rape of Bangladesh ,
লেখকঃ Anthony Mascarenhas.
“আমার ঠিক পাশেই ছিল মুসলমান একটি মেয়ে। অসম্ভব রূপবতী এবং খুব কম বয়সী। সবাই (পাকি হায়েনারা) তাই তাকে একটু বেশি মাত্রায় ‘পছন্দ’ করত। একদিন ৩-৪ জন একসাথে এলো ওরা। এবং, প্রত্যেকেই চাচ্ছিল মেয়েটিকে। নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতেও পারছিল না কে আগে করবে, কে পরে। এটা নিয়েই ঝগড়া শুরু করে দিল তারা।
এরপর, সবাই একসাথে ঝাঁ পিয়ে পড়ল ওর উপর। তারা এতটা উন্মাদ ছিল যে বুঝে উঠতে পারছিল না কী রেখে কী করবে। তারা যা পারছে তাই করতে লাগল মেয়েটির সাথে, সে কী অত্যাচার! তারপর একে একে তাকে ধর্ষণ করতে লাগল। মেয়েটি আর সইতে না পেরে একজনকে লাথি দিল আর সে পড়ে গেল। ভগবান ! এখন ওকে বাঁচাবে কে!
তারা আরো নির্যাতন চালালো, আরো ধর্ষণ করল, এরপর চলে গেল। আমরা ভগবান কে ধন্যবাদ দিচ্ছিলাম, অন্তত মেয়েটি বেঁচে তো আছে। কিন্তু, একটু পরেই তারা আবার ফিরে এলো। ঢুকেই তারা মেয়েটিকে লাথি দিতে লাগল তাদের বুট দিয়ে। তারপর, তার যোনিদ্বারে গরম ডিম ঢুকিয়ে দিল। আপনি যদি দেখতেন মেয়েটির চিৎকার! মনে হচ্ছিল, তার চিৎকারে দেয়ালগুলো ধ্বসে যাবে। কিন্তু তারা একটুও দয়া দেখালো না। তারা পর পর তিনটি গরম ডিম ঢুকালো। মেয়েটি চিৎকার করতেই থাকলো, কিন্তু কিছুক্ষণ পর তার গলা দিয়ে আর আওয়াজ বেরুলো না।
পরদিন তারা আবার এলো। মেয়েটিকে তারা বলল, চুপ থাকতে। নাহলে, আরও অত্যাচার করবে। মেয়েটার অবস্থা খুব বেশি খারাপ ছিল। তারা তাদের রাইফেলের সম্মুখটা তার যোনিতে প্রবেশ করাতে লাগল। একজন তার পেটের উপর দাঁড়িয়ে ছিল। এমনভাবে তার শরীর থেকে রক্ত বেরুতে লাগল, যেন মাত্রই কেউ গরু জবাই করেছে। তার শরীরটা নড়ল কিছু, এরপর স্থির হয়ে গেল। কিন্তু সে তখনও মারা যায় নি। ভগবানও তার দিকে তাকাননি। পরের কয়েকদিন তারা তার সাথে এমনটাই করতে লাগল। মেয়েটি এমন করে ৭-৮ দিন বেঁচে ছিল। পরের দুদিন সে অজ্ঞান ছিল… এবং অবশেষে… মেয়েটি মারা গেল।”
– কিরণবালা
ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
Source : The Rape of Bangladesh ,
by Anthony Mascarenhas

- Advertisement -

মন্ট্রিয়ল, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent