রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

শিল্পকর্ম চুরি নিয়ে কথা বলছে না কেউ


কানাডার ইতিহাসে ৫০ বছর পর শিল্পকর্ম চুরির সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটলেও এ নিয়ে কেউ কথা বলতে খুব একটা আগ্রহী নয়। চোরের পরিচয়ও নিয়েও এখনও রহস্য রয়ে গেছে।
মন্ট্রিয়লের পুলিশ থেকে যেখান থেকে শিল্পকর্মটি খোয়া গেছে সেই মিউজিয়াম, কানাডিয়ান হেরিটেজ থেকে কুইবেক কালচারাল ডিপার্টমেন্ট সবখানেই এ নিয়ে নীরবতা।
১৯৭২ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের সকাল। নাইলনের রশি বেয়ে মন্ট্রিয়ল মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টসের দ্বিতীয় তলায় নামে। এরপর তারা একটি স্কাইলাইট বেছে নেয়, যেটার সঙ্গে অ্যালার্ম সেট করা ছিল না। ভেতরে প্রবেশ করে অস্ত্রধারী তিন ব্যক্তি প্রহরীদের চোখ বেঁধে প্রথম তলায় লেকচার হলে নিয়ে যায় এবং সেখানে বেঁধে রাখে। ওই ঘটনার খুব সামান্যই বর্ণনা করতে পারেন প্রহরীরা। দুইজনকেই তাঁরা কেবল দেখতে পান এবং তারা মাঝারি গড়নের ছিল। স্কি মাস্ক পরা ওই ব্যক্তিদের চুল ছিল লম্বা। চোরদের মধ্যে দুইজন ফ্রেঞ্চ ভাষায় অপরজন ইংরেজিতে কথা বলছিল। এই বর্ণনার সঙ্গে শহরের বড় অংশের মানুষেরই মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
ওই ঘটনা দ্রুত স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাওয়া বিস্ময়ের কিছু নয়। কারণ, ১৯৭২ সালের লেবার ডে ছিল ঘটনাবহুল। ১ সেপ্টেম্বর তিন ব্যক্তিকে মন্ট্রিয়লের ওয়াগন হুইলে ঢুকতে বাধা দিলে তারা সিঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুন পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে এবং ৩৭ জনের মৃত্যু হয়। পরদিন মন্ট্রিয়ল ফোরামে ১৯৭২ সামিট সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে সাবেক সোভিযেত ইউনিয়নের কাছে হেরে যায়। স্কাইলাইট ক্যাপার যতক্ষণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মনোযোগ পেতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় সামনে আসে মিউনিখ অলিম্পিক বন্দি সংকট। মন্ট্রিয়লের ওই চুরি এখন পর্যন্ত রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। কানাডিয়ান আর্ট ২০১৯ সালে তাদের জানালে ওই ঘটনাকে কানাডার ইতিহাসে শিল্পকর্মের সবচেয়ে বড় চুরি বলে আখ্যায়িত করে।
This article was written by Rezaul Haque as part of the LJI

- Advertisement -

Read More

Recent