রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

বর্ণবাদবিরোধী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছে স্কুল বোর্ড

কানাডার প্রথম প্রদেশ হিসেবে অন্টারিও ২০১৭ সালে বর্ণবাদবিরোধী আইন পাস করে ২০২১ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বোর্ড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ইকুইটি প্ল্যান বিআইইপি প্রকাশ করে যাতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব স্কুল বোর্ডকে স্বেচ্ছায় শিক্ষার্থীদের জনমিতিক উপাত্ত সরবরাহ করতে বলা হয়

কানাডাজুড়েই বর্ণবাদবিরোধী কার্যক্রমে পিছিয়ে আছে স্কুলগুলো। উপাত্ত সংগ্রহ ও সম্পদের অভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আটকে আছে তারা। এমনটাই মনে করছে পিপল ফর এডুকেশন।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অ্যানি কিডার বলেন, উপাত্তের বিষয়টি যে বিরক্তিকর আমি সেটা জানি। কিন্তু আমরা উপাত্ত হারাচ্ছি এবং সেটার পরিমাণ বিপুল। অন্টারিওতে প্রত্যেক স্কুল বোর্ড যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের উপাত্ত সংগ্রহ করে সেটা নিশ্চিতের ব্যবস্থা রয়েছে। এটা একটা স্বেচ্ছামূলক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় এই উপাত্ত সরবরাহ করবে, সামনে এগিয়ে চলার জন্য যা অবিশ^াস্যরকমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কে বাইরে আছে, কে বর্ণবাদের শিকার হচ্ছে তা জানার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, উপাত্ত সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

- Advertisement -

কানাডার প্রথম প্রদেশ হিসেবে অন্টারিও ২০১৭ সালে বর্ণবাদবিরোধী আইন পাস করে। ২০২১ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বোর্ড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ইকুইটি প্ল্যান (বিআইইপি) প্রকাশ করে, যাতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব স্কুল বোর্ডকে স্বেচ্ছায় শিক্ষার্থীদের জনমিতিক উপাত্ত সরবরাহ করতে বলা হয়। তবে পিপল ফর এডুকেশনের নতুন প্রতিবেদন বলছে, এই কৌশল বাস্তবায়নে লক্ষণীয় অসামঞ্জস্যতা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচয়ভিত্তিক উপাত্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ভিন্ন ভিন্ন কতগুলো গ্রুপ একই ধরনের ইনস্টিটিউশন, সিস্টেম ও পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সে সম্পর্কে মূল্যবান ধারণা পাওয়া যায়। ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের ফলাফলের মধ্যে তুলনাও করা যায়। প্রান্তিক ও কম প্রতিনিধিত্বশীল গ্রুপগুলোর পক্ষে কাজ করার জন্য এ ধরনের প্রমাণ গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া উন্নয়ন পরিকল্পনা ন্যায্য পদ্ধতিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্যও এটা জরুরি।

অন্টারিওতে পিপল ফর এডুকেশন সরকারি অর্থে পরিচালিত ৭২টি স্কুল বোর্ডের সবগুলোর তথ্য যাচাই করে দেখেছে। শিক্ষার্থী ও কর্মীদের মধ্যে কোনো শুমারি পরিচালনা করেছে কিনা এবং তাদের বর্ণবাদবিরোধী কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা অথবা তাদের ইকুইটি পলিরসিতে বর্ণবাদবিরোধী শব্দ অন্তর্ভুক্ত করেছে কিনা সে তথ্যও খতিয়ে দেখেছে তারা।

তাতে দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশ স্কুল বোর্ড তাদের ন্যায্যতা ও অন্তর্ভুক্তি নীতিতে বর্ণবাদের উল্লেখ থাকার কথা ওয়েবসাইটে জানিয়েছে। সরকারি অর্থে পরিচালিত ৪০ শতাংশ স্কুলের ওয়েবসাইটে বর্ণবাদবিরোধী বিবৃতি রয়েছে। ২৮ শতাংশ স্কুলের বর্ণবাদবিরোধী কৌশল রয়েছে। এছাড়া ৬৭ শতাংশ স্কুল বোর্ড শিক্ষার্থী শুমারি করেছে বা করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। স্কুল ক্লাইমেট শুমারি করেছে ৫৪ শতাংশ স্কুল। তবে এখন পর্যন্ত কর্মী শুমারি করেছে মাত্র ২৮ শতাংশ স্কুল।

অন্টারিওর ৬৪ শতাংশ স্কুলের অধ্যক্ষরা জানিয়েছেন, তাদের স্কুল বোর্ড বর্ণভিত্তিক অথবা ডেমোগ্রাফিক শিক্ষার্থী উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। এ হার সবচেয়ে বেশি গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে ৭৪ শতাংশ।

- Advertisement -

Read More

Recent