সোমবার - মে ৬ - ২০২৪

বিল সি-১১ কি অতি উচ্চাকাঙ্খি?

একটি বিল কীভাবে আইনে পরিণত তা নিয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠ নেওয়ার পর অনেকদিন পেরিয়ে গেছে নাথান কেনেডির। কিন্তু কিন্তু প্রস্তাবিত অনলাইন স্ট্রিমিং বিল আইনে পরিণত হতে যাওয়ায় গত সাত মাসে তিনি অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক ক্র্যাশ কোর্স সম্পন্ন করে ফেলেছেন।
অন্টারিওর হ্যামিল্টনের এই কনটেন্ট নির্মাতার জীবীকার ওপর বিল সি-১১ এর সম্ভাব্য প্রভাব কী হতে পারে সেটা বুঝতে একরকম বাধ্য হয়েই সংসদীয় পদ্ধতির মধ্যে নিজেকে নিয়ে গেছেন।

- Advertisement -

তিনি বলেন, টিকটক কিংবা ইউটিউব যেটাই হোক আমার রিচের ক্ষেত্রে এর প্রভাব কী হবে সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। কারণ, সেটা আমার ব্যবসার ওপর প্রভাব ফেলবে। আমি যাদের সঙ্গে ব্যবসা করি তাদের ওপরও প্রভাব পড়বে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বিজ্ঞঅপন পাওয়ার জন্য আমি কী যথেষ্ট আাকর্ষণীয়?

ব্যক্তিগত ফাইন্যান্স নিয়ে আলাপ করে ২০২১ সাল থেকে তিনি যথেষ্ট অর্থ রোজগার করতে শুরু করেন। ফলে ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজারের পূর্ণকালীন চাকরিটাও ছেড়ে দেন।

বিল সি-১১ সিনেটে চূড়ান্ত ভোটাভুটির অপেক্ষায় আছে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি সম্ভবত আইনে পরিণত হতে যাচ্ছে। যদিও এক বছর ধরে বিতর্ক ও পরিমার্জনের পরও কিছু কনটেন্ট নির্মাতা প্রস্তাবিত আইনটিকে অতিমাত্রায় উচ্চাকাক্সিক্ষ বলছেন। তাদের জন্য এর অর্থ কী হতে পারে সে ব্যাপারেও তারা নিশ্চিত নন।

রেজিনার ম্যাসিভ কপেৃারেশন গেম স্টুডিওপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাই হাচেন্স বলেন, প্রস্তাবিত আইনের ফলাফল কী হতে পারে সে ব্যাপারে এই খাতটিকে অথৃপূর্ণ কোনো তথ্য দিতে পারেনি সরকার। তারা অনেক কিছু বলছে। কিন্তু এর বেশিরভাগই স্পষ্ট নয়। প্রযুক্তি প্ল্যাটফরমগুলো নিয়ে তারা ঠিক কী করতে যাচ্ছে সে সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ সরকার হাজির করতে পারেনি।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে ইউটিউবের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হাচেন্স।

প্রস্তাবিত আইনের ফলে ইউটিউব, নেটফ্লিক্স ও স্পোটিফাইয়ের মতো প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে তাদের স্ট্রিমিসং সেবায় কানাডিয়ান কনটেন্টের জন্য অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে কোম্পানিগুলোকে কানাডিয়ান রেডিও-টেলিভিশন আন্ড টেলিকমিউনিকেশন্স কমিশনের কাছ থেকে কঠোর জরিমানার মুখে পড়তে হবে।

- Advertisement -

Read More

Recent