এমপিদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হুমকিসহ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যেসব অতিগোপনীয় ইমেইল গোয়েন্দা সঙ্গে আদান-প্রদান করেন তাতে কানাডার জননিরাপত্তামন্ত্রীর কোনো প্রবেশাধীকার নেই বলে স্পেশাল র্যাপোর্টার ডেভিড জনস্টন বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে তৈরি তার প্রথম প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সরকারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানে যে সমস্যা এটা তার একটিমাত্র উদাহরণ এবং অবশ্যই এর সমাধান হওয়া উচিত।
সাবেক গভর্নর জেনারেল বলেছেন, চাইনিজ-কানাডিয়ান এমপি ও বিদেশে তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে চীনা কর্মকর্তাদের সম্ভাব্য কার্যক্রমের ইঙ্গিতের ব্যাপারে অবগত ছিল কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (সিএসাআইএস)।
যে বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিতর্ক দেখা দিয়েছে সে ব্যাপারে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কনজার্ভেটিভ এমপি মাইকেল চঙ্গের পরিবারকে হুমকি দিতে বেইজিং যে পদক্ষেপ নিচ্ছে সে সংক্রান্ত কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল না। তবে চীনা কর্মকর্তারা যে চঙ্গ ও তার আত্মীয়-স্বজন সম্পর্কে চীনা কর্মকর্তারা যে তথ্য সংগ্রহ করছেন সেই তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে ছিল।
যে তথ্যের ভিত্তিতে জনস্টন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তা গোপনীয় এবং প্রকাশ করা হয়নি। জনস্টন তার প্রতিবেদনে বলেছেন, সিএসআইএস এ সংক্রান্ত তথ্য জননিরাপত্তামন্ত্রী ও তার চিফ অব স্টাফকে গোপন ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়েছিল। কিন্তু তারা তা রিসিভ করেননি। কারণ, এই সিস্টেমে তাদের প্রবেশাধীকার ছিল না।
চঙ্গ সংসদীয় কমিটির সামনে এ প্রসঙ্গে বলেন, হুমকির ব্যাপারে তাকে অবহিত করতে ব্যর্থ হওয়া সরকারি প্রশাসন যন্ত্র ভেঙ্গে পড়ার পরিচায়ক। তবে প্রতিবেদনে ব্যাপারে তার মন্তব্য জানতে চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন তিনি।