রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

অনবদ্য নজরুল সন্ধ্যা

বলছিলাম খায়রুল আনাম শাকিলের গানের কথা নজরুল সন্ধ্যা যে বাঙালি গান ভালোবাসে নজরুল তাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে এই বিশ্বাস আমার ষোল আনা

নজরুল সন্ধ্যা—অনুষ্ঠানের এই নামই দিয়েছিল আয়োজকগণ। আগের পোস্টে জানা না থাকায় ইকবাল রহমানের নামটা বলিনি, এবার শুরুতেই তাকে স্মরণ করছি। বুকের পাটা আছে, চাটগাঁর ছেলে, সমুদ্রের ঢেউ পাত্তা না দিয়ে বড় হয়েছে, এখানে ক্যালগারি শহরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মানেই ইকবাল হচ্ছে তার স্পন্সর। এবার আর স্পন্সর না, আয়োজক, রুবেলের পাশে দারুণ মানিয়েছিল তাকে সেই সন্ধ্যায়। শুরুটা দেরি হয়েছিল, তবে, উপস্থাপনার নতুনত্বে, আর পেশাদারিত্বে মনেই হয়নি, আমরা দেশের বাইরে কোথাও, যেন পুরো সন্ধ্যা বাংলাদেশের কোনো মঞ্চে। অপু যে সাউন্ড সিস্টেমে নিজেকে কোথায় নিয়ে গেছে, এই অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত না থাকলে কেউ বুঝতে পারবে না। হলের মধ্যে গানের আসর মানেই সাউন্ড, কারণ, শেষ বিচারে আমার কানে যা ঢোকে, তাকে আমি ফিল্টার করতে পারি না, ওই কাজটি অপুকে করতে হয়। হল যদি অ্যাকুস্টিক না হয়, তো ঠেলার নাম বাবাজি, সব অভিযোগ অপুকেই শুনতে হয়। তো ছেলেটার জন্ম যদিও সাগর থকে বেশি দূরে না, কিন্তু, সাহসে চাঁটগাইয়াদের চেয়ে কম না।

বলছিলাম, খায়রুল আনাম শাকিলের গানের কথা। নজরুল সন্ধ্যা। যে বাঙালি গান ভালোবাসে, নজরুল তাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে, এই বিশ্বাস আমার ষোল আনা। এই ডাক উপেক্ষা করে যারা বাসায় থেকে গেল সেদিন, আমি নিশ্চিত, তারা কোনদিন যুদ্ধে যেতে পারবে না; কবি যতই বলুক, ”এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।” যারা নজরুল গান হচ্ছে জানার পরও ভেবেছে আরে এ আর এমনকি! শাকিলের কি আর সেই গলা আছে, আর ক্যালগারির পাবলিক ওসব খায় না। তারা খায় আইয়ুব বাচ্চু। কথা সত্য। আইয়ুব বাচ্চু হচ্ছে লিজেন্ড। তো, শাকিল যে নজরুল দিয়ে আপনাকে পাগল করে দিতে পারে, সেটা জানা গেল সেদিন। সত্য সত্যই সেই সন্ধ্যা ছিল পাগল করে দেওয়া। বহুদিন পর রীতা কর্মকারকে পেলাম মঞ্চে তানপুরা হাতে, তবলায় রাজিব উড়ে এসেছিল টরন্টো থেকে, সাথে কি-বোর্ডে এবং গিটারে, তাঁরাও। কী গভীর প্রেমে মগ্ন পৃথিবী তখন, মোর প্রিয়া হবে এসো রানি, দেব খোঁপায় তারার ফুল দিয়ে সেই যে শুরু শেষ হলো পদ্মার ঢেউ-রে গান দিয়ে। মাঝে পুরো দেড় ঘন্টা বুঁদ হয়ে থাকা।

- Advertisement -

Read More

Recent