টর্নেডোতে মধ্য আলবার্টার বাড়ির দুটি অবকাঠামো মাটিতে মিশে যাওয়ার পর লোকজন যে তাকে সাহায্য করতে আসবেন এটা জানাই ছিল এলিসা হামফ্রেসের। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া সাহয্যের আবেদনে অসংখ্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সাড়া দিয়েছেন। তারা ধ্বংসাবশেষ সরাতে এগিয়ে আসেন।
হামফ্রেসের হিসাব অনুযায়ী, রোববার বিকালে কারস্টেয়ার্সের উত্তরপূর্বাঞ্চল থেকে ১০০ এর মতো সাহায্যকারী আসেনে। সংখ্যাটি এত বেশি ছিল যে, একজনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল কেবল অন্যদের নির্দেশনা প্রদান করা। কিন্তু শনিবারের টর্নেডো আরও অনেক কাজ বাড়িয়ে দিয়েছে। ঝড়ে এতোটাই ক্ষতি হয়েছে যে মনে হচ্ছিল যেনো বিমান দুর্ঘটনার পর ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
শনিবার বিকালে ঝড়টি কার্স্টেয়ার্স ও ডিসবারির পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় প্রধান জর্ডান শেফার। একটি বাড়ির বেজমেন্ট থেকে একজন নারীকে বের করে আনতে হয়েছে।
পুলিশ বলছে, আরও কিছু বাড়ি বিধ্বস্ত হলেও কেউ হতাহত হয়নি। গুরুতর আহত হওয়ার কোনো ঘটনাও ঘটেনি। যদিও গরু, মুরগি ও ঘোড়াসহ অসংখ্য প্রাণী মারা গেছে অথবা মেরে ফেলতে হয়েছে।
এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট জেঞ্জ কানাডার আবহাওয়াবিদ মারিয়ানা গ্রিনহফ বলেন, ক্ষয়ক্ষতির জরিপ করতে দুজন আবহাওয়াবিদ ওই এলাকায় ছিলেন। টর্নেডোর শক্তিমত্তা নির্ধারণে এই তথ্য পরে কাজে লাগানো হবে। তবে ক্ষয়ক্ষতিকে ব্যাপক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হামফ্রেস বলেন, শনিবার বিকালের দিকে তিনি কিছু কাজ করছিলেন এবং জরুরি সতর্ক সংকেত পাওয়ার আগে এক কাপ কফি হাতে নিয়েছিলেন। আমি দাঁত ব্রাশেল সময়ও পায়নি। এমন সময় আমার ফোনে সতর্ক সংকেত আসে এবং আমি জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি। বিশাল টর্নেডো দেখতে পাই।