সোমবার - মে ৬ - ২০২৪

এইগুলা কি কারবার হইতাছে?

এইগুলা কি কারবার হইতাছে

আমাগো ছক্কু মিয়া কইল এইগুলা কি কারবার হইতাছে? ভাইরে ভাই, ওনারা উইড়া আইইয়া হাসতে হাসতে নিজেগোর দেশে ফিরা গেলেন এইটা ভাইব্বেন না। ওনাগো একশন গণ্ডারের চামড়ার মতো। উপড়ে খাওজাইল্লে নিচে যাইতে ছয় মাস সময় লাগে। একাত্তরে আমাগো বিচ্ছুরা একশনে যাইবার আগে যেমন রেকি করতো এরপর সময় সুযোগ পাইয়া আঘাত করত এই মুরুব্বীরাও বাংলাদেশে আইসা রেকি কইরা গেল। এখন বইসা বইসা দেখেন মানবতা রক্ষার অপারেশন কবে শুরু হয়।

ছক্কু মিয়া আরও কইলো। আগেই কইছিলাম যুদ্ধাপরাধীগো ফাঁসি দেওয়ানের সময় মানবতাবিরোধী তকমা লাগাইয়েন না। আরে মিয়া, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ওরা অপরাধ করছে। ব্যাস খালাস। ওগো নাম হইলো যুদ্ধাপরাধী। হের লগে মানবতা ফানোবতা লাগানোর কি দরকার আছিল। এলায় বুঝেন ঠেলা। ওগো পেয়ারের দোস্তোগো যেই মানবতার নামে ফাঁসি দিছেন সেই মানবতার নামেই আপনাগো এখন ফাঁসাইব। একাত্তরের পরাজয়ের শোধ নিছে পঁচাত্তরে। আর মানবতার নামে ফাঁসি দেওনের প্রতিশোধ কবে নেয় দেখেন। কাম কিন্তু শুরু হইয়া গেছে। মানবতা মানবতায় কাটাকাটি কইরা ওরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলবো। মাগার কেমনে কি করবো হেইটা না বুঝলেও নীল নক্সা শুরু হইতে বেশীদিন বাকী নাই। সরেজমিনে সবকিছু দেইখা গেল। আমাগো চকবাজারে টোকাইও জানে যে এতোগুলা মানুষ সেই দেশের জনগণরে ট্যাক্সের টাকায় আপনাগো খুশি করনের লাইগ্যা আসে নাই।

- Advertisement -

তয় চুপচাপ থাকলেই ওরা বুদ্ধিমানের কাম করবো। এইবার সহজে আকাম করতে পারবো বইলা মনে হয় না। একাত্তরের মুক্তিফৌজেরা একা একাই যুদ্ধ করছিল। এখন হেই মুক্তিযোদ্ধাদের পোলাপান, নাতি পুতি, ভাই ব্রাদারের দেশ এবং দেশের বাইরে ছড়াইয়া আছে। ইট মারলে পাটকেলটাও খাইতে হইবো। শ্যাম চাচা ভালো ভালোই চাইপা গেলেই ভালো। না হইলে কিন্তু মাইনকার চিপায় পইরা যাইবো। ভিসাপিছার ডর দেখাইয়া লাভ নাই। আমরাও জব্বর কইয়া দিতে পারি হেনরি কিসিঞ্জারের ভিসা আজীবনের জন্য বন্ধ কইরা দেওয়া হইলো। তখন তাবাদ দুনিয়া জানবো একাত্তরে মানবতায় কার কি ভূমিকা ছিল। আর গলাবাজি বন্ধ না করলে হুস কইরা ঢাকা শহরের একটা রাস্তার নাম ‘জর্জ ফ্লয়েড রোড’ রাইখা দিলেই ওগো দেশের অর্ধেক লোক জানবো আমরা কেমন শান্তি প্রিয় জাতি। তখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছু করলে ওগো দেশের লোকই পথে নাইমা আইবো। আমরাও তখন নতুন স্লোগান নিয়া রাস্তায় নাইমা যামু।

- Advertisement -

Read More

Recent