টরন্টো থেকে কুইবেক সিটি পর্যন্ত দ্রুত গতির রেললাইনের যে সময়সীমা তা শ্লথ করেছে ফেডারেল সরকার। পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাবরা বলেন, হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেললাইন ২০৩০ সালের মাঝামাঝি নাগাদ চালু হবে বলে তিনি আশা করছেন। গত মার্চে ২০৩০ সালের গোড়ার দিকে এটি চালু হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পূর্বাভাস এটাই যে, আমি ২০৩০ সালের মাঝামাঝি নাগাদ এটির কার্যক্রম শুরু হওয়া দেখতে চাইবো। সে নাগাদ এটি সেবা দেওয়ার উপযোগী হবে বলে আমরা আশা করছি। কিন্তু এটা অনেক দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং আমি সেটো স্বীকারও করছি। যদিও এটাই সর্বোত্তম উপায়। কারণ, এটা আমরা সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে চাই।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তাব প্রদানের আহ্বান জানান মন্ত্রী। ২০২১ সালের জুলাই মাসে যে এন্টারপ্রাইজের ঘেঅষণা দেওয়া হয়েছিল এটা তার সর্বশেষ পদক্ষেপ। ওই বছর আলঘাবরা এই প্রকল্পের ব্যয় প্রাক্কলন করেছিলেন ৬০০ কোটি থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
হেরিটেজ মন্ত্রী পাবলো রড্রিগেজ বলেন, স্টেশনের কথঅ বিবেচনায় নিলে ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার গতির হাইস্পিড রেল করিডোর লাভজনক হবে না।
হাই-স্পিড রেল করিডোরের জন্য কেবল আন্ডারপাস নির্মাণেই বিপুল অংকের অর্থের প্রয়োজন। এর পাশাপাশি ফেন্সিংও জরুরি।
যাত্রীবাহী ট্রেন মন্ট্রিয়ল, ট্রয়িস-রিভিয়েরেস এবং কুইবেক ও অন্টারিওর অন্যান্য মিউনিসিপালিটির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে। টরন্টো ও কুইবেক সিটির মধ্য দিয়ে চলাচলকারী এই ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার। করিডোরে অটোয়া এবং অন্টারিওর পিটারবোরোতেও স্টপেজ থাকবে।
প্রকল্পের জন্য তিনটি কনসোর্টিয়াকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে সেগুলো হলো ক্যাডেন্স, যার মধ্যে আছে এসএনসি-লাভালিন এবং এর বৃহত্তম বিনিয়োগকারী ক্যায়সি ডি ডিপো এট প্লেসমেন্ট ডু কুইবেক। অন্য দুই কনসোটিয়া হলো ইন্টারসিটি রেল ডেভেলপারস এবং কিউকানেকশন রেল পার্টনারস। আগস্টেই অংশীদার নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আলঘাবরা।