শনিবার - জুলাই ২৭ - ২০২৪

আরসিএমপির সাবেক গোয়েন্দা পরিচালকের বিচার শুরু

ক্যামেরন জে অরটিসের বিরুদ্ধে কানাডার গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনার চার বছরেরও বেশি সময় পর এর বিচার শুরু হচ্ছে আদালতের মুখোমুখি করা হচ্ছে আরসিএমপির সাবেক এই গোয়েন্দা পরিচালককে

ক্যামেরন জে অরটিসের বিরুদ্ধে কানাডার গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনার চার বছরেরও বেশি সময় পর এর বিচার শুরু হচ্ছে। আদালতের মুখোমুখি করা হচ্ছে আরসিএমপির সাবেক এই গোয়েন্দা পরিচালককে।

অরটিসকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেওয়া হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। এই ঘটনা জাতীয় পুলিশ সার্ভিসকে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়। আরসিএমপির ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের প্রধান হিসেবে অরটিসের দেশের সবচেয়ে গোপনীয় কিছু নথিতে প্রবেশধাধীকার ছিল। তিনজনের কাছে গোপনীয় তথ্য প্রকাশ ও চতুর্থ এক জনের কাছে প্রকাশ করার চেষ্টার মাধ্যমে অরটিস সিকিউরিটি অব ইনফরমেশন অ্যাক্ট লঙ্ঘন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বিশ^াস ভঙ্গ ও কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট অপরাধও করেছেন। এসব অপরাধে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

- Advertisement -

কয়েক সপ্তাহব্যাপী এই বিচার অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্টে শুরু হতে যাচ্ছে। এজন্য জুরিও নির্বাচন করা হয়েছে। অরটিসের কো-কাউন্সেল জন ডুডি বলেছেন, সব অভিযোগ অস্বীকারের পরিকল্পনা করছেন তিনি। তিনি নিজেই নিজের পক্ষে দাঁড়াতে চান। তার তরফ থেকে সব গল্প তুলে ধরার জন্য তিনি উদ্বিগ্ন। এাঁকে দারণ গল্প বলে তিনি মনে করছেন।

কঠিন শর্তে অরটিস বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে বেশ কয়েক মাস তাকে অটোয়া কারাগাওে কাটাতে হয়েছে।

সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে একই ধরনের একটি মামলা ফেডারেল কের্টেও হতে যাচ্ছে। অরটিসের আইনজীবী হিসেবে প্রথমে একজন বিচারকের নাম গত বছর ঘোষণা করা হয়। এর ফলে কাউন্সেল বদলে যায় এবং বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।

আদালতে দাখিল করা নথির কিছু অংশ উন্মুক্ত রয়েছে। তাতে ২০১৪ সালে মামলার শুরু সম্পর্কে ধারণা দেওয়া আছে। ওই আরসিএমপি প্রজেক্ট অরিক্স নামে একটি তদন্ত পরিচালনা করছিল। ২০১৯ সালে অরটিসের গ্রেপ্তারের কয়েকদিন পরই তৎকালীন আরসিএমপি কমিশনার ব্রেন্ডা লাকি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এফবিআইয়ের সঙ্গে তদন্তকালে তদন্তকারীরা বেশ কিছু নথি পান, যা থেকে আরসিএমপির কর্মকর্তাদের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হয় যে, অব্যন্তরীণ কিছু একটা দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে।

কানাডার সাইবার সিকিউরিটি এজিন্সর এক মেমোতে বলা হয়েছে, অরটিসের টপ সিক্রেট স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স অথবা এসআইয়ে প্রবেশের সুযোগ ছিল। কানাডিয়ান টপ সিক্রেট নেটওয়ার্কেও প্রবেশ ছিল তার। ওই নেটওয়ার্কে এসআইসহ বিভিন্ন ধরনের উপাত্ত ছিল।

- Advertisement -

Read More

Recent