ইসরায়েল ও জর্ডান সফরের অংশ হিসেবে গত ১৩ অক্টোবর তেল আবিব যান কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় শত শত কানাডিয়ান যখন অঞ্চলটি ছাড়তে চাইছেন তখন এই সফর করেছেন তিনি।
কন্স্যুলার সার্ভিসে কানাডারশীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিশরে পৌঁছানোর জন্য কানাডিয়ানরা অল্প কিছু সময় পেতে পারেন। তবে পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত।
কন্স্যুলারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি মিনিস্টার জুলি সানডে বলেন, গাজায় কানাডিয়ানদের জন্য যে এটা ভয়ঙ্কর সপ্তাহ সেটা আমরা জানি। সেখানকার পরিস্থিতি সত্যিই খুব কঠিন। ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীরের প্রায়র ২ হাজার ২০০ কানাডিয়ান অঞ্চলটি ছাড়তে কন্স্যুলারের সহায়তা চেয়েছেন। এর মধ্যে ১২ অক্টোবর রাতেই সহায়তা চেয়েছেন ৬০০ জন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি অঞ্চলটিতে গেছেন মূলত ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার প্রভাব ও গাজায় মানবিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়া নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে। এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, হামাসের সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের দিকে সহায়তার হাত বাড়াতে আমি ইসরায়েলে এসেছি। যারা বাড়ি ফিরতে চান সেইসব কানাডিয়ানের সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করব। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা নিতে ও ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর মানবিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করব।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার আরেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি মিনিস্টার আলেক্সান্দ্রে লেভেক বলেন, ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য বৈঠক করেন জোলি। জর্ডানে যাওয়ার আগে ইসরায়েল ত্যাগের জন্য উড়োজাহাজে ওঠার অপেক্ষায় থাকা কানাডিয়ানদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।