রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

পারিবারিক চিকিৎসক ছাড়াই এক-চতুর্থাংশ অন্টারিওবাসী

ভয়াবহ সঙ্কটের কারণে প্রদেশের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন লোককে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পারিবিারিক চিকিৎসকের কথা ভুলে যেতে হবে

টরন্টো এরিয়ার এক পারিবারিক চিকিৎসক বলেছেন, তার মনে হচ্ছে তিনি পেপারওয়ার্কের মধ্যে ডুবে আছেন। পেপারওয়ার্কগুলো তার রোগীদের জন্য সম্পন্ন করতে হবে।

পারিবারিক চিকিৎসক ও জিপি অ্যানেস্থেটিস্ট ডা. নাদিয়া আলম এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন। ১৫ বছর ধরে পারিবারিক চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

- Advertisement -

অন্টারিও কলেজ অব ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান্স নতুন একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আগে এই মন্তব্য করেন তিনি। সমীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ভয়াবহ সঙ্কটের কারণে প্রদেশের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন লোককে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পারিবিারিক চিকিৎসকের কথা ভুলে যেতে হবে।

চিকিৎসা পেশায় থাকা বহু মানুষ ক্ষেত্রটি ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করায় অথবা কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেওয়ায় এই সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

নাদিয়া আলম বলেন, অর্থায়ন বা কম অর্থায়ন, প্রশাসনিক বোঝা, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাব আমাকে পেছনের দিকে টেনে ধরতে শুরু করেছে। এই অবস্থঅ কেবল আমার একার নয়। গত এক বছর ধরে আমার মনে এই ভাবনা দানা বাধতে শুরু করে যে, ফ্যামিলি মেডিসিন এখন আর আমার জন্য নয়। কারণ, আমি যেটা করতে সত্যিকারভাবে ভালোবাসি সেটা আর পারছি না। অন্য সব কর্মীদের অবস্থাও একই।

ক্লিনিক আওয়ারে নাদিয়া আলম এখনো ৬০০ রোগীর সঙ্গে সময় কাটানো উপভোগ করছেন। তিনি বলেন, কিন্তু তারা চলে যাওয়ার পর হতাশ লাগে। হাজারো পেপারওয়ার্ক তার নিজেকেই সম্পন্ন করতে হয়। এটা আমাকে দারুণভাবে ভোগাচ্ছে।

অন্টারিও কলেজ অব ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান্সের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রদেশে গণহারে পারিবারিক চিকিৎসকরা তাদের ক্লিনিক ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। অথবা তারা কর্মঘণ্টা কমিয়ে ফেলতে পারেন। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এমনটা করার চিন্তা করছেন প্রদেশের ৬৫ শতাংশ পারিবারিক চিকিৎসক।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯৪ শতাংশ পারিবারিক চিকিৎসক বলেন, প্রশাসিক কাজের ভারে তারা ন্যুব্জ। প্রতি সপ্তাহে তাদের ৪০ শতাংশ সময় ব্যয় হয় এর পেছনে।

- Advertisement -

Read More

Recent