কানাডাজুড়ে নাগরিকরা যেসব আর্থিক জালিয়াতির কারণে ভুগছেন সরকারের পরিচয় প্রতারণা তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ঘটনা। পেমেন্ট প্রসেসিং কোম্পানি ইন্টার্যাক কর্পোরেশনের নতুন এক সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে।
২৮ নভেম্বর প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদনে অংশ নেওয়া ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ফিশিং স্ক্যামের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ৪১ শতাংশ উত্তরদাতা। এ ছাড়া ভুয়া ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড ও অনলাইন অ্যাকাউন্ট প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৩৩ শতাংশ উত্তরদাতা।
ইন্টার্যাকের সাইবার মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমসের পরিচালক রাচেল জোলিকুর বলেন, লোকজনকে এটা মনে রাখতে হবে যে, যারা প্রতারণা করছে তাদের সবাই পেশাদার। প্রতারণার ক্ষেত্রে সব সময়ই জরুরি প্রয়োজনের কথা বলা হয়। যখনই আপনি সেটা বুঝতে পারবেন তখন বন্ধ ও স্থগিত করে ঘটনাটি যাচাইয়ে নেমে পড়েন। সরকারি প্রতিনিধি, আর্থিক পরামর্শক বা আন্তর্জাতিক পার্সেল সংক্রান্ত কোনো ফোন পেলে লোকজনকে সাবধান হওয়াটা জরুরি। এ ছাড়া ভুল লিংকে ক্লিক আপনাকে ফিশিং ওয়েবসাইটে নিয়ে যেতে পারে।
২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে ১ হাজার ২০২ জনের ওপর সমীক্ষাটি চালায়ি ইন্টার্যাক। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৩ শতাংশ আর্থিক জালিয়াতি কানাডায় সাধারণ ঘটনা বলে বিশ^াস করেন। তারাও একই প্রতারণার শিকার হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে চারজন কানাডিয়ান।
চলমান আর্থিক জালিয়াতির ব্যাপারে গত কয়েক মাসে ফেডারেল সরকার কানাডিয়ানদের উদ্দেশে বেশ কিছু সতর্কতা দিয়েছে। এ ধরনের ডজনখানেক প্রতারণার কথা উল্লেখ করে কানাডিয়ান রেভিনিউ এজেন্সির শুধুমাত্র এ সংক্রান্ত একটি পেজ রয়েছে। এসব প্রতারণার মধ্যে রয়েছে ক্লাইমেট অ্যাকশন টেক্সট স্ক্যাম, ক্রেডিট স্ক্যাম, টেক্সট স্ক্যাম টু অ্যাকসেস সিআর্ে অ্যাকাউন্টস এবং অর্থ চেয়ে জবরদস্তিমূলক ফোনকল।