বিশ্বব্যাপী নির্বাচনকে লক্ষ্য করে সাইবারঝুঁকি সংক্রান্ত তৎপরতা বাড়ছে। কানাডার পরবর্তী ফেডারেল নির্বাচনেও এমনটা দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে নতুন এক ফেডারেল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কানাডিয়ান সেন্টার ফর সাইবার সিকিউরিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত এক-চর্তুথাংশের কিছু বেশি জাতীয় নির্বাচনে কমপক্ষে একটি সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র মদতপুষ্ট সাইবার হামলাকারীরা ২০২১ সাল থেকে বিদেশে নির্বাচনকে লক্ষ্য করে অধিকাংশ সাইবার হামলা চালিয়েছে।
রাশিয়া ও চীনের সাইবারঝুঁকি কার্যক্রমের মধ্যে আছে নির্বাচন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে ডিনাইয়াল-অব-সার্ভিস হামলা পরিচালনা, ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্যে প্রবেশ এবং অনলাইন নির্বাচন ব্যবস্থার ভঙ্গুরতা খুঁজে বের করা। যদিও সেন্টার এই বলে সতর্ক করেছে যে, অনলাইন অপরাধীরা তাদেরকে গোপন রাখার ক্ষেত্রে আরও বেশি উন্নত হচ্ছে এবং নির্বাচনকে ঘিরে পরিচালিত অধিকাংশ সাইবারঝুঁকি কার্যক্রমের উৎস জানা যায়নি।
প্রতিবেদনে জেনারেটিভ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সামনে আসার বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট যেমন টেক্সট, ইমেজ, অডিও এবং ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম, যাকে বলা হয়ে থাকে ডিপফেক। এই সিন্থেটিক কন্টেন্ট অনলাইনে গোপনে তথ্য বিকৃতির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, যা ভোটারদের মতামত ও আচরণকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। জেনারেটিভ এআইয়ের সৃষ্টিশীল সম্ভাবনা থাকলেও ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে এর তথ্য বাস্তুতন্ত্র দূষিত করার সামর্থ্য বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকির।
এআইসৃষ্ট ভুয়া তথ্যের পেছনের ব্যক্তি কে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা পরিস্কার নয়। তারপরও আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে বিদেশি হ্যাক্টিভিস্টরা কানাডার পরবর্তী ফেডারেল নির্বাচনের আগে ভোটারদের প্রভাবিত করবে।