শনিবার - জুলাই ২৭ - ২০২৪

বিইআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পক্ষপাতদুষ্ট

কুইবেকের পুলিশ ওয়াচডগ ব্যুরো ডেস এনকুয়েটেস ইন্ডিপেন্ডান্তেস বিইআই পুলিশের হাতে মন্ট্রিয়লের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার সময় যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল তা পক্ষপাতদুষ্ট ছিল বলে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত

কুইবেকের পুলিশ ওয়াচডগ ব্যুরো ডেস এনকুয়েটেস ইন্ডিপেন্ডান্তেস (বিইআই) পুলিশের হাতে মন্ট্রিয়লের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার সময় যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল তা পক্ষপাতদুষ্ট ছিল বলে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। এতে করে নিহত হওয়ার ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই রায় এবার বহাল রেখেছে কুইবেক কোর্ট অব আপিল।

নিহত কোরে কেভিন সেলিকের পরিবার সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা করে এই অভিযোগে যে, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি তাদের সম্মান ও মর্যাদার হানী করেছে। সেই সঙ্গে তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে।

- Advertisement -

একটি প্রাদেশিক আদালতের বিচারক এই মামলায় ২০২১ সালে পরিবারটির পক্ষে রায় দেন এবং সেলিকের বাবা-মা এবং ভাইদের অনকূলে সাকল্যে ৩০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেন। প্রাদেশিক সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হচ্ছে, বিইআই অন্যায় কিছু করেনি। যদি করেও থাকে তাহলে তা পরিবারটির ক্ষতির কোনো কারণ হয়নি। পুলিশি অভিযানের সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তা বাদে অন্য কেউ নিহত হলে বা গুরুতর আহত হলে তা তদন্ত করে থাকে বিইআই।

আপিল আদালত উভয় যুক্তিই বাতিল করে দিয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর দেওয়া সিদ্ধান্তে বিচারপতি সিমন রুয়েল লখেন, বিশেষ করে এই মামলায় বিচারক যৌক্তিকভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারতেন যে, নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে এমন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিইআই ভুল করেছে।

পশ্চিম মন্ট্রিয়লে বাবা-মা বাড়িতে পুলিশ ডাকার পর ২৮ বছর বয়সী সেলিক মারা যান। বিষক্রিয়া নিয়ে তিনি গাড়ি চালাতে পারেন বলে উদ্বিগ্ন ছিলেন তারা বাবা-মা।

বিইআই সে সময় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পুলিশ আসার পর সেলিক আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তিনি আদেশ মানতে অস্বীকার করলে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে মাটিতে চেপে ধরেন। সংজ্ঞাহীন হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রতিরোধ করতে থাকেন।

বাবা-মায়ের অভিযোগ, বাড়িতে পুলিশ এসে তার দিকে ফ্ল্যাশলাইট ধরলে সেলিক তা বন্ধ করতে বলেন এবং এ নিয়ে তিনি চিৎকার করতে থাকেন। পুলিশ কর্মকর্তারা প্রথমে ফ্ল্যাশলাইট এবং পরে ব্যাটন দিয়ে তাকে আঘাত করেন এবং এক পর্যায়ে পেটাতে থাকেন। পুলিশ তার ওপর টেজার ব্যবহার করলে তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তখনও তাকে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছিল।

করেনারের এক তদন্তে বলা হয়, পুলিশ অপ্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করেছে। যদিও টেজার ব্যবহারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্যাথোলজিস্ট অ্যালকোহল ও মাদকের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।

- Advertisement -

Read More

Recent