রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

কি মায়া!!

দেখতে দেখতেই আমরা আমাদের ক্ষণকাল স্থায়ী এই গ্রীষ্মের মাঝামাঝি চলে এসেছি যদিও ভাল গরম এবার আসেনি উইন্ডসরে

দেখতে দেখতেই আমরা আমাদের ক্ষণকাল স্থায়ী এই গ্রীষ্মের মাঝামাঝি চলে এসেছি। যদিও ভাল গরম এবার আসেনি উইন্ডসরে। ঠাণ্ডায় ঠান্ডায় কেটে গিয়েছে সামারের অনেকটা সময়। এর ফলে এবার বাগানে ফসলের অবস্থা ভাল না। গাছের দূর্বল অবস্থার সূযোগে পোকা মাকড়ের উৎপাতও বেড়েছে প্রচুর। ইউ.কে থেকে আমার বন্ধু জোহা কল দিয়ে জানাল ওদের এখানেও নাকি এ বছর সামারের একই অবস্থা। ঠান্ডা আর কাটেই না। তাই বাগানের অবস্থাও আশানুরূপ না। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রতিকুলতার প্রভাবেই হয়ত এরকম।

শৈশবের একটা সময় ছিল আমি এবং আমার বন্ধু জোহা মিলে সাইকেলে ঘুরে বেড়াতাম কুমিল্লা শহর এবং শহরতলীতে। কখনো রোদে পুড়ে, আবার কখনোবা বৃষ্টিতে ভিজে।

- Advertisement -

দিনমান ঘুরে বেড়াতাম এক নার্সারী থেকে অন্য নার্সারীতে। সংগ্রহ করতাম বিভিন্ন দূলভ প্রজাতির ফুল এবং ফলের গাছ। আমাদের মাঝে প্রতিযোগীতা হতো কার বাগান কত ভাল হয়। একুশে ফেব্রয়ারীতে সারারাত জেগে থাকতাম কেউনা আবার ওয়াল টপকে গাছের সব ফুল চুরি করে নিয়ে যায়।

আজ সবই স্মৃতি – শুধুই স্মৃতি।

জীবন এবং জীবিকার প্রয়োজনে দৌড়াতে গিয়ে সবই হারিয়ে যায় অন্ধকারের কাল গহ্বরে। তবে মজার ব্যপার হচ্ছে আমরা দুই বন্ধুই এখন আবার বাগান নিয়ে ব্যস্ত হয়েছি। একজন যুক্তরাজ্যের লেইসেস্টার শহরে আর অন্যজন কানাডার উইন্ডসরে।

কি অবাক করা মিল!!

আজ সবার সাথে শেয়ার করছি বাগানের কিছু ছবি এবং সাথে স্বজনদের ছবি। বাংলাদেশ থেকে ছোটভাই ফারুক স্ব-পরিবারে বেড়াতে এসেছিল উইন্ডসরে।

প্রতিকুল এক আবহাওয়ার মাঝেও এবার বাগানে জন্মেছে কিছু ফুল – ফল এবং সব্জি। শেয়ার করছি সবার সাথে, হয়ত ভাল লাগবে।

- Advertisement -

Read More

Recent