ফেডারেল সরকারের কার্বন প্রাইস আগামী সাত বছরে ফেডারেল বিক্রয় কর থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি রাজস্ব জোগান দিতে পারে। কিন্তু এই রাজস্বের কোনোটিই জলবায়ু কর্মসূচির জন্য সরাসরি বরাদ্দ নয়।
পার্লামেন্টারি বাজেট কর্মকর্তার কাছ থেকে সাম্প্রতিক এই হিসাব পাওয়া গেছে। গত ফলে কনজার্ভেটিভ এমপি আলেক্স রাফের উত্থাপিত প্রাইভেট মেম্বার’স বিলের ভিত্তিতে হিসাবটি করা হয়েছে। কার্বন প্রাইসিং থেকে বিক্রয় কর পুরোপুরি বাতিলের প্রস্তাব দিয়ে বিলটি উত্থাপন করা হয়েছিল।
কার্বন প্রাইসিং থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব আইনের দ্বারা সৃষ্ট শর্ত অনুযায়ী পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর ছাড় এবং অনুদান কর্মসূচির আওতায় ফেরত দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু বিক্রয় করের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। কার্বন প্রাইসের অতিরিক্ত হিসেবে এটা সংগ্রহ করা হয়।
পার্লামেন্টারি বাজেট কর্মকর্তার হিসাব অনুযায়ী, কার্বন প্রাইসের ওপর বিক্রয় কর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হবে ৬০ কোটি ডলারের মতো। ২০৩০-৩১ অর্থবছর নাগাদ তা ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছে যাবে। কার্বন প্রাইসের সমান্তরালে বিক্রয় করও বাড়বে।
জলবায়ু ও অর্থনীতি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ক্লিন প্রসপারিটির নির্বাহী পরিচালক মাইকেল বার্নস্টেইন বলেন, অটোয়া বিক্রয় কর বাবদ প্রাপ্ত রাজস্বের কিছু অংশ ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
গ্রামীণ কানাডিয়ানদের দেওয়া রিবেটের পরিমাণ বাড়াতে ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্বন প্রাইসিং বাবদ প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ কমিয়ে আনছে ফেডারেল সরকার। কনজার্ভেটিভ পার্টির একজন মুখপাত্র বলেন, তার বিলের ওপর আলোচনা করতে পারেননি রাফ। তবে পার্টি বিশ^াস করে কার্বন প্রাইস পুরোপুরি বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এটা থেকে বিক্রয় কর প্রত্যাহার ভালো শুরু।
অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কার্বন প্রাইস রিবেট হিসেবে প্রতিটি কানাডিয়ান পরিবারকে ১ হাজার ৮০০ ডলার ফেরত দিচ্ছে। পাশাপাশি কার্বন প্রাইস রাজস্বের একটি অংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারেও সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।