রবিবার - এপ্রিল ২৮ - ২০২৪

গাজায় ক্ষুধায় অন্টারিওর এক নারীর ভাইয়ের মৃত্যু

উত্তর গাজায় কয়েক সপ্তাহ ধরে খাবার ও আশ্রয়ের খোঁজ করতে করতে শেষ পর্যন্ত তার ভাই মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ৬২ বছর বয়সী অন্টারিওর এক নারী

উত্তর গাজায় কয়েক সপ্তাহ ধরে খাবার ও আশ্রয়ের খোঁজ করতে করতে শেষ পর্যন্ত তার ভাই মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ৬২ বছর বয়সী অন্টারিওর এক নারী। একই সঙ্গে ওই ব্যক্তি কানাডায় আসতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে ফেডারেল সরকারের বক্তব্যের অপেক্ষায় ছিলেন।

সুজান কারাশুলি এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান, তার ভাই ইসমাইল কারশুলি নতুন চালু করা কর্মসূচিতে নিজের ও তার ২৫ বছর বয়সী মেয়ের জন্য কানাডিয়ান ভিসার আবেদন করার চার মাস পর ৪ মার্চ মারা যান। তার মেয়ে লীনা কারশুলি এখন গাজায় এক রয়েছে এবং মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রস্থলে বেঁচে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

- Advertisement -

কারাশুলি বলেন, অটোয়ার কাছে তার একমাত্র চাওয়া তার ভাগ্নিকে যেন তার সঙ্গে থাকার সুযোগ করে দিয়ে সহায়তা করে। দুই দশক ধরে কানাডাকে তিনি তার বাড়ি হিসেবে দাবি করে আসছেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ছেলে মারকাসের সঙ্গে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। ৩৬ বছর বয়সী মারকাস কারাশুলি বলেন, মা ঘর গোছানোর পাশাপাশি সবকিছু ঠিক করেছিলেন। তিনি কাপড় কিনেছিলেন। কারণ, তারা আসলে আসবেন প্রায় খালি হাতে। আমরা কানাডিয়ান মূল্যবোধে বিশ^াস করি। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারছে না, যা আমাদের হতাশ করেছে।

গাজা ভূখ-ের যেসব ফিলিস্তিনির বর্ধিত পরিবারের সদস্যরা কানাডায় রয়েছেন এমন এক হাজারজনকে সাময়িক ভিসা দিতে গত জানুয়ারি মাসে একটি কর্মসূচি চালু করে কানাডিয়ান সরকার। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, কানাডায় আসার পর তাদের পরিবারকেই তাদের সহায়তা করতে হবে। কর্মসূচিটি চালুর দিনই সুজান তার পরিবারের সদস্যদের জন্য আবেদন করেছিলেন।

তিনি বলেন, আবেদন ছিল বিভ্রান্তিকর ও ব্যয়বহুল এবং তার আত্মীয়দের জন্য করা আবেদন গৃহীত হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত তিনি ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে কিছু শোনেননি। অথবা চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার জন্য তারা মিশরে পৌঁছাতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারেও কিছু জানতে পারেননি।

হামাস যখন দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায় তখন শিক্ষা পরিচালক হিসেবে দীর্ঘ ক্যারিয়ার মেষে অবসর জীবন-যাপন করছিলেন ইসমাইল কারশুলি। লীনা সে সময় আইনে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি করছিলেন। কারাশুলি বলেন, লীনা ও তার বাবার হামাসের সঙ্গে বা এই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই ছিল না। ইসরায়েলের হামলাকে সামগ্রীক শাস্তি হিসেবে মনে হচ্ছে।

মৃত্যুর সময় ইসমাইল কারশুলির বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। উত্তর গাজায় কার্যকর কোনো হাসপাতাল ছিল না। সুতরাং, তার মৃত্যু ঘোষণা করার মতো অথবা কীভাবে তিনি মারা গেছেন তা জানানোর মতো কোনো চিকিৎসকও ছিলেন না। তবে যে ছবি তিনি পেয়েছেন তাতে তার প্রিয় ও সম্মানীত ভাই খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। তিনি ক্ষুধার্ত ছিলেন।

মারকাস কারাশুলি বলেন, তিনি ও তার বাবা কতটা ক্ষুধার্ত ছিলেন প্রায়ই লীনা তা বলতেন।

This article was written by Rezaul Haque as part of the LJI

- Advertisement -

Read More

Recent