শনিবার - এপ্রিল ২৭ - ২০২৪

হোমোফোবিক আইনের বিরুদ্ধে কানাডার পদক্ষেপ দাবি

বিদেশে এলজিবিটিকিউ+ লোকদের অধিকার খর্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত কানাডা হারিয়ে ফেলছে বলে জানিয়েছেন অধিকার কর্মীরা

বিদেশে এলজিবিটিকিউ+ লোকদের অধিকার খর্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত কানাডা হারিয়ে ফেলছে বলে জানিয়েছেন অধিকার কর্মীরা। একই সঙ্গে তারা লিবারেল সরকারের প্রতি উগান্ডা ও ঘানার হোমোফোবিক আইনের নিন্দা জানানোর চেয়েও বেশি কিছু করার আহ্বান জানিয়েছেন।

টরন্টো সফররত অধিকারকর্মী স্টিভেন কাবুয়ে বলেন, পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। গত জানুয়ারিতে উগান্ডাায় তাকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করা হয়।

- Advertisement -

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হোমোফোবিয়াকে তারা বৈধতা দিয়েছে। তারা জনগণকে সমকামীদের হত্যা করার অধিকার দিয়েছে। তাহলে কোথায় আমি ন্যায় বিচার পাব? এমনকি পুলিশও আমাকে গ্রেপ্তার করতে চায়।

সমকামিতার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এ সংক্রান্ত গুরুতর অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে গত বসন্তে আইন কার্যকর করেছে উগান্ডা। গুরুতর অপরাধের মধ্যে রয়েছে, এইচআইভি পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও সমকামি যৌনকর্ম করা। যারা এলজিবিটিকিউ+ অধিকারের কথা বলবে বিলের তাদের জন্য শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে ২০ বছর কারাদন্ড। এ ধরনের কোনো কাজ কেউ করছে জানার পর বাড়ির মালিকদের বাধ্যতামূলকভাবে তাদেরকে উচ্ছেদ করতে হবে।

ঘানার সংসদ গত মাসে তাদের খসড়া আইন পাস করেছে। আইনটি কার্যকর হলে এলজিবিটিকিউ+ নিয়ে অধিকারের পক্ষে কেউ কথা বললে তাকে দশক ধরে কারাগারে থাকতে হবে। সমলিঙ্গের কেউ প্রকাশ্যে রোমান্টিক সম্পর্কে থাকলে তাকেও কারাগারে থাকতে হবে। বিলটি অনুযায়ী, এলজিবিটিকিউ+ লোকদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে।

বিশ্বব্যাপী এলজিবিটিকিউ+ অধিকার নিয়ে কাজ করা কানাডিয়ান গ্রুপগুলোর একটি জোট বলেছে, এগুলো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

ডিগনিটি নেটওয়ার্কের প্রধান ডগ কের বলেন, এটা যে জরুরি বিষয় সরকার তার স্বীকৃতি না দেওয়া তাদেরকে হতাশ করেছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া ও গ্রুপগুলোর পাশে দাঁড়ানোর এখনই সময়। এবং কানাডার সেই সক্ষমতা রয়েছে।

- Advertisement -

Read More

Recent