শনিবার - জুলাই ২৭ - ২০২৪

টরন্টোর ভ্যাকেন্ট হোম ট্যাক্স

টরন্টোর যেসব বাড়ির মালিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাড়ির অবস্থা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বাড়ি খালি থাকার কারণে তাদের কাছে হাজার হাজার ডলার পাওনা হয়েছে জানানোর পর অভিযোগের এই পাহাড় তৈরি হয়েছে

টরন্টোর ভ্যাকেন্ট হোম ট্যাক্স নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। টরন্টোর যেসব বাড়ির মালিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাড়ির অবস্থা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বাড়ি খালি থাকার কারণে তাদের কাছে হাজার হাজার ডলার পাওনা হয়েছে জানানোর পর অভিযোগের এই পাহাড় তৈরি হয়েছে।

টরন্টোর বেশ কিছু বাসিন্দা বলেন, খালি বাড়ির বিপরীতে সিটি অব টরন্টোর কাছ থেকে তারা বিরাট ট্যাক্স বিল পেয়েছেন। যদিও বাড়িগুলো আসলে খালি ছিল না।

- Advertisement -

এক পঞ্জিকাবর্ষের মধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় কোনো বাড়ি যদি খালি থাকে তাহলে ওই বাড়ির মালিকের ওপর ভ্যাকেন্ট হোম ট্যাক্স আরোপ করা হয়। ২০২৩ সালের জন্য এই করের হার ছিল ১ শতাংশ, যার অর্থ হচ্ছে কোনো বাড়ির মূল্যমাণ যদি ১০ লাখ ডলার হয়ে থাকে তাহলে তার বিপরীতে কর দাঁড়ায় ১০ হাজার ডলার।

কোনো বাড়ি খালি আছে কিনা তা জানানোর জন্য বাড়ির মালিকদের প্রথমে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তা ১৫ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

সিপি২৪ডটকমের সঙ্গে কথা বলা দুজন নারী জানান, ২০২২ সালে প্রথম যখন কর্মসূচিটি চালু করা হয় তখনই তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এটা যে প্রতি বছরই করতে সে ব্যাপারে তারা অবগত ছিলেন না।

রিভারডেলের বাসিন্দা সোফি লেম বলেন, আমি ক্ষুব্ধ, হতাশ এবং একই সঙ্গে বিপর্যস্ত। কী করব আমি বুঝতে পারছি না। সিটি কর্তৃপক্ষ থেকে তাকে এক হাজার ২০০ ডলারের বিল ধরিয়ে দেওয়ার পর এই মন্তব্য করেন তিনি।

টরন্টোর বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগের ঢেউ ওঠার পর মেয়র অলিভিয়া চাউ ৪ এপ্রিল এজন্য ক্ষমা চেয়েছেন। একই সঙ্গে এই বিশৃঙ্খলার জঞ্জাল পরিস্কার করার ওয়াদা করেছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি যখন মেয়রের দায়িত্ব আসি তার আগেই ব্যবস্থাটি চালু করা হয়েছিল। যেভাবে আমরা কর্মসূচিটি চালু করেছি তা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা খুবই নতুন একটি বিষয়।

৫ এপ্রিল প্রকাশ করা এক চিঠিতে মেয়র চাউ ও বাজেট প্রধান শেলী ক্যারল বলেন, আরোপ করা ৬২ হাজার ৫০০ এর বেশি ভ্যাকেন্ট হোম ট্যাক্স বাতিল করতে ৫ এপ্রিল সকালেই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন সিটি কর্মীরা।

- Advertisement -

Read More

Recent