শিল্পকর্ম ও প্রচার সামগ্রীতে স্থান পাওয়া ৫০ লাখ বছর আগের বৃহৎ স্যালমনের নতুন প্রচারণা শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন আবিস্কৃত দুটি ফসিল খুলি মাছটি সম্পর্কে গবেষকদের ধারণা তৎক্ষণাৎ বদলে দিয়েছে।
১৯৭০ এর দশকে ওরেগনে আবিস্কৃত ২ দশমিক ৭ মিটারের প্রাথমিক ফসিলটি ছিল অসম্পুর্ণ। এবং এটা গবেষকদের ভুলক্রমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বাধ্য করে যে, মাছটির ছিল পাখাসদৃশ দাঁত। এর ফলে একে ডাকা হতো বড় দাঁতের স্যালমন বলে এবং ইউনিভার্সিটি অব ওরেগনের মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল অ্যান্ড কালচারাল হিস্টরির জন্য এটি মাস্কটে পরিণত হয়। এমনটাই জানান গবেষক এডওয়ার্ড ডেভিস।
কিন্তু এরপর ২০১৪ সালে দুটি খুলি আবিস্কৃত হয়। খুলি দুটি খুঁজে পায় যে দলটি তার সদস্য ছিলেন ডেভিস। তিনি বলেন, ল্যাবে নেওয়ার পর তারা এই আবিস্কারের গুরুত্ব সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারেন, যা তাদেরকে মাছটির নতুন নামকরণের দিকে চালিত করেছে। দুই পাশে দাঁতসহ খুলি দুটি যেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওই অবস্থানে থাকা দাঁতগুলো কামড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হতো না। এটা ছিল অবশ্যই অবাক করার এক মুহূর্ত।
ইউনিভার্সিটির মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল অ্যান্ড কালচারাল হিস্টরির কন্ডন ফসিল কালেকশনের পরিচালক ডেভিস বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি যে, নতুন প্রদর্শনীর দুই মাস আগে তৈরি সব শিল্পকর্ম, প্রচার সামগ্রী, বাম্পার স্টিকার ও বাটন এবং টি-শার্ট পুরোনো হয়ে গেছে।
জার্নাল প্লস ওয়ানে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত নতুন গবেষণার সহ-লেখক ডেভিস। গবেষণায় বৃহৎ এই মাছটির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পাইক-লাইক স্যালমন’।