শনিবার - জুলাই ২৭ - ২০২৪

ক্যালগেরি ইউনিভার্সিটিতে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত

স্টুডেন্ট সহ অনেক শিক্ষক এবং অভিভাবক ক্যালগেরি ইউনিভার্সিটিতে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অবস্থান করছিল তাদের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য

স্টুডেন্ট সহ অনেক শিক্ষক এবং অভিভাবক ক্যালগেরি ইউনিভার্সিটিতে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অবস্থান করছিল তাদের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য। হঠাৎ করে দাঙ্গা পুলিশ চড়াও হয়ে উঠে স্টুডেন্টদের কাদানে গ্যাস ও গ্রেনেড বোমা ফেলে। প্রচন্ড সাউন্ডে, ধোয়ায় ধম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাই অনেকেই দিক বিদিক ছোটাছুটি করে। তারপরেও স্টুডেন্টরা ওখানে অবস্থান করে। পুলিশ দাঙ্গা পুলিশ সাইকেল দিয়ে তাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করে বের করে দেয় স্টুডেন্টদের। শত শত পুলিশের প্রচন্ড বাধার মুখে টিকতে না পেরে ছাত্ররা স্থান ত্যাগ করে। সেখান থেকেও পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।

প্রায় বারোটা পঁয়তাল্লিশের দিকে অধিকাংশ পুলিশ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে আমরা অভিভাবক, শিক্ষকরাও যারা ছিলাম আশেপাশে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে বাড়ি ফিরেছি।

- Advertisement -

আশার আলো আমাদের ছেলেমেয়েরা সাহস করে প্রটেস্ট করেছে, কিন্তু দুঃখের কথা হল এটাকে আমাদের মুসলিম সমাজ, অভিভাবকরা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। উচিত ছিল হাজার হাজার অভিভাবক কমিউনিটির মানুষ এই ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোর। অধিকাংশই এসেছিল অন্য ধর্মের সচেতন মানুষেরা আর আমাদের ভাই বোনেরা ঘুমে আর দোয়াতে ব্যস্ত।

যদি দোয়াতেই সব কিছু হয়ে যেত তাহলে আল্লাহর রাসূল ঘরে বসে দোয়া করেই সবকিছুই আদায় করে ফেলতেন। ওনার সমগ্র জীবন দেখেছি উনি মাঠে নেমেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। এর জন্য সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন। আমাদের নাবালক কমিউনিটির লিডার, মুসলিম ভাই-বোনদের “দোয়া” আল্লাহর রসূলের উপরে উঠে গেছে। মুসলিম সমাজের প্রতিটি মানুষকে আরো সচেতন, ম্যাচিওর হওয়া উচিত। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করতে পারাটাও প্রজ্ঞার পরিচয়।

অন্য দেশে যেখানে সাত মাস ধরে আমাদের ভাই-বোনরা ঘুমাতে পারছে না, স্কুল নাই ,খাওয়া-দাওয়া নাই? সেখানে একদিনও আমরা সেক্রিফাইস করতে পারিনা? আল্লাহ তুমি প্রত্যেকটা কে জিজ্ঞাসা করিবা । একটাকেও ক্ষমা করিবে না। এটা পুরোপুরি অন্যায় হয়েছে আমাদের সন্তানদের, ছাত্রদের প্রতি।

- Advertisement -

Read More

Recent