রাফসান দ্য ছোট ভাই মূলত: একজন ফুড ব্লগার।সে তার ফুড ব্লগার থেকে ভালোই রোজগার করে।
সাম্প্রতিক রাফসান তার নিজের আয় থেকে বাবা মার জন্য গিফট হিসাবে বেশ দামি অডি গাড়ী কিনে দিয়েছে।
রাফসান তার ভিডিওতে বলেছেন, সব সন্তানরাই চায় তার বাবা মাকে খুশি করতে। সেও বাবা মাকে খুশি করার জন্য লেটেস্ট মডেলের বেশ দামি অডি গাড়ী কিনে দিয়েছে।
এর আগে সে রোজা-রমজান মাসে ওয়েস্টিন থেকে কেনা ৫৩০০০ হাজার টাকা দামের ইফতার নিয়ে তার ভিডিও বানিয়েছিল।
৫৩০০০ টাকার ইফতারিতে কি থাকতে পারে, তার স্বাদ কি তা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। একমাত্র যারা সীমাহীন অর্থ রোজগার করে তাদের পক্ষেই শুধু বলা সম্ভব এই ৫৩০০০ টাকার ইফতারি কি জিনিস,তার স্বাদ কি।
৫৩০০০ টাকার একদিনের ইফতারি পেটে গেলেই তো শেষ। শুধু রসনা নিবৃত করতে ৫৩০০০ টাকা! তাও রোজা-রমজান মাসে!!!
বুঝাই যাচ্ছে, বেশ বড়লোকী ব্যাপার-স্যাপার।
কোন সন্তান তার বাবা মাকে নিজের আয় থেকে দামি গাড়ি উপহার দিতেই পারে। আমি কোন আপত্তি দেখি না।
আমার আপত্তি অন্যখানে।
তরুন প্রজন্মের সবাই যেন রাফসানকে রোল মডেল ভেবে তার মতো ব্লগার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ না করে।
নতুন প্রজন্ম সব কিছু বাদ দিয়ে ফুড ব্লগার হতে চাইলে দেশে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তারের আকাল পড়ে যাবে।
ফুড ব্লগার দেশের জন্য কিছু বয়ে আনবে না। এটা সম্পূর্ণ আনপ্রডাক্টিভ খাত। এখানে বখে যাওয়ার কোন মানে হয় না।
এ কথা ঠিক, রাফসান দ্য ছোট ভাইকে আমি পছন্দ করি। দেখতে শুনতে বেশ সুদর্শন স্মার্ট যুবক। সর্বোপরি সে বেশ শিক্ষিত। কথা-বার্তা বেশ চৌকস।
এই ছেলে শুধুমাত্র ফুড ব্লগার নিয়ে থাকবে আমি তা মনে করি না।
তার মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলী আছে।
দেশে স্মার্ট শিক্ষিত নেতৃত্বের খুবই অভাব।
রাফসানের মতো তরুন যুবকরা এই দিকে মনোনিবেশ করলে ভালো হতো।
ফুড ব্লগার দিয়ে আর তেমন কি হয়?
মানুষ ভালো ভালো খাবার আর খাবারের জায়গার সন্ধান পাবে আর উদর পূর্তি করবে। এর বেশি আর কি?
রাফসানের উচিত এবার অন্য দিকে একটু দৃষ্টি প্রসারিত করা।