ইউনিয়ন শ্রমিকরা সম্ভাব্য চুক্তি প্রত্যাখ্যানের জন্য আরও বেশি সাহস পাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে মজুরি বৃদ্ধির যারা সুফল পেয়েছে তাদের কাতারে যুক্ত হতে তারা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ব্যারি এইডলিন বলেন, আমার কাছে এটা পরিস্কার যে, শ্রমিকদের মধ্যে দর-কষাকষি কমিটিগুলোর সুপারিশকৃত চুক্তি বাতিলের ঘটনা বেড়েছে। গত কয়েক বছরে তাদের প্রত্যাশার পারদ যে ব্যাপক বেড়েছে এটা তারই ইঙ্গিত। সেই সঙ্গে ইউনিভুক্ত শ্রমিকদের আরও জঙ্গিভাবাপন্ন হয়ে ওঠারও ইঙ্গিত এটা।
সম্ভাব্য একটি চুক্তি প্রত্যাখ্যানের পর টরন্টোতে নেসলে চকোলেট প্ল্যান্টের শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যান। ইউনিফরের প্রেসিডেন্ট ইয়ামন ক্লার্ক এটা ভালো করেই বুঝতে পারছেন যে, কর্মীদের কাছ থেকে সম্ভাব্য চুক্তি কপাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, আমরা সদস্যদের জন্য ভালো চুক্তি নিয়ে আসছি। কিন্তু তারা সেগুলো প্রত্যাখ্যান করছেন। জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকদের প্রত্যাশাও।
সাধারণত চুক্তি নিয়ে দর-কষাকষিতে ইউনিয়নের দর-কষাকষির দায়িত্বপ্রাপ্ত দল চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে থাকেন। উভয় পক্ষ শর্তের ব্যাপারে সম্মত হলে ইউনিয়ন সম্ভাব্য চুক্তিটি সদস্যদের সামনে নিয়ে আসে। চুক্তিটি চূড়ান্ত হওয়ার জন্য গৃহীত হওয়ার আগে তাদেরকে অবশ্যই এর পক্ষে ভোট দিতে হয়।
পূর্ববর্তী বছরগুলোতে প্রত্যাখ্যানের ঘটনা তেমন ছিল না বলে জানান ব্রক ইউনিভার্সিটির লেবার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ল্যারি স্যাভেজ। তিনি বলেন, কিন্তু আজকাল এটা স্ধাারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সম্ভাব্য চুক্তির ওপর ভোটাভুটির উপাত্ত সরকারের নেই।