রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

ফুড রেসকিউ অ্যাপে ভীড় জমাচ্ছেন কানাডিয়ানরা

টু গুড টু গো ফ্ল্যাশফুড ফিডব্যাক এবং ওলিওর মতো অ্যাপ ব্যবহারকারীরা বলছেন এক সপ্তাহের উপযোগী সবজি ও ফল পেস্ট্রি বক্স এমনকি আস্ত পিৎসা ও কেক এমনকি প্রস্তুত ডিনারের জন্য তারা ৩ থেকে ১০ ডলার পরিশোধ করেছেন

বাংলাদেশি কানাডিয়ান আবুল হাসেম গত সপ্তাহে টরন্টোর পুতাতেরি’র ফাইন ফুডস থেকে যখন ১০ ডলার খরচ করে রোস্টেড সুইট পটাটো সুপ, ফ্ল্যাংক স্টেক ও চিকেন সালাদ কেনেন তখন এ নিয়ে বড়াইয়ের তেমন কিছু ছিল না। হাসেমের ভাষায়, এটা বিলাবহুল মুদি দোকান এবং এখানে কেনাকাট করার মতো সামর্থ অনেকেরই থাকে না। কিন্তু এখন আপনি অর্থও সাশ্রয় করতে পারছেন আবার ভালো খাবারও পাচ্ছেন।

খাবারগুলো খাওয়ার পর তার ইনস্টাগ্রাম অণুসারীদের জন্য রহস্যের জট খোলেন হাসেম। এজন্য তিনি ‘টু গুড টু গো’ অ্যাপের শরনাপন্ন হন। এখনও খাওয়ার উপযোগী পুরনো খাদ্য যারা কম দামে ছেড়ে দিতে চান সেসব রেস্তোরাঁ ও মুদি দোকানের সঙ্গে চুক্তিকারী যেসব অ্যাপ আছে এটি সেগুলোর অন্যতম। টু গুড টু গো, ফ্ল্যাশফুড, ফিডব্যাক এবং ওলিওর মতো অ্যাপ ব্যবহারকারীরা বলছেন, এক সপ্তাহের উপযোগী সবজি ও ফল, পেস্ট্রি বক্স এমনকি আস্ত পিৎসা ও কেক এমনকি প্রস্তুত ডিনারের জন্য তারা ৩ থেকে ১০ ডলার পরিশোধ করেছেন।

- Advertisement -

এর ফলে যে সাশ্রয়টা হচ্ছে তা অনেক বলে মনে করেন টরন্টোর বাংলাদেশি কমিউনিটির লিনা রহমান। এ্যাপ কতৃপক্ষ বলেন, ছুটির সময় একজন বাবা আমাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। কারণ, কোভিড-১৯ এর কারণে তার চাকরিটি চলে গেছে এবং ফ্ল্যাশফুড ব্যবহার করে যে অর্থ তিনি জমিয়েছেন তা সন্তানদের জন্য পণ্য কেনোয় ব্যয় করেছেন।

অ্যাপটি শুরু করেন টরন্টোর উদ্যোক্তা জশ ডোমিঙ্গে ২০১৬ সালে, যখন তিনি শেফকে ৪ হাজার ডলারের খাবার ফেলে দিতে দেখেন। অ্যাপটি এখন লবলজের মতো সুপারমার্কেট জায়ান্টও ব্যবহার করছে। অ্যাপটি মাংস, মাছ, রুটি ও ডেইরি পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণের আগেই সরবরাহ করছে এবং অর্ধেক দামে। হিমায়িত কিছু পণ্যের কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত মেয়াদ থাকছে। অন্যগুলোর মেয়াদ থাকছে একদিন বা দুইদিন।

এইভাবে ফ্ল্যাশফুড এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৫ লাখ কেজি খাবার ভাগাড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছে। এতে ভোক্তাদের সাশ্রয় হয়েছে সাকল্যে ৯ কোটি ডলার।

অভাবী মানুষদের মধ্যে অবিক্রিত সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে দাতব্য প্রতিষ্ঠান সেকেন্ড হার্ভেস্ট। তাদের হিসাব বলছে, কানাডায় প্রতি বছর যে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন হয় তার ৬০ শতাংশই নষ্ট হয়। নষ্ট করা এসব খাদ্যের ৩২ শতাংশ অর্থাৎ ১ কোটি ১২ লাখ টন খাওয়ার উপযোগী এবং অভাবী মানুষদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

অ্যাপ ডাউনলোডের মাধ্যমে এই খাদ্য অপচয় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে দাবি করেন অনেকে। এটা সম্ভবত সত্য নয়। তবে এই বিপুল ভার কমানোর ক্ষেত্রে এটা সহায়ক হতে পারে। ভালো মজুদ পরিকল্পনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাদ্য অপচয় সমস্যা সমাধানে বেশি কার্যকরী বলে মনে করেন তিনি।

This article was written by Rezaul Haque as part of the Local Journalism Initiative.

- Advertisement -

Read More

Recent