রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

কানাডায় আন-ভ্যাক্সিনেটেড এবং মৃত্যু

টরন্টো সিটি মেয়র জন টরি

যারা ভ্যাক্সিন নেননি তাদের কারনে অধিকাংশ মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে। কারন, তাদের জন্যই হসপিটালে আইসিইউতে রোগী ভর্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন-ভ্যাক্সিনেটেড মানুষগুলিই করোনা আক্রান্ত হয়ে অধিকাংশ আইসিইউ occupy করে রেখেছে। আন-ভ্যাক্সিনেটেডদের মধ্যেই মৃত্যুর হার বেশি। ফলে তাদেরকে বাচানোর তাগিদে এবং হসপিটালে আইসিইউতে চাপ কমানোর জন্য সরকারকে নানা রকম বিধিনিষেধ আরোপ করে সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হচ্ছে।
আন-ভ্যাক্সিনেটেডরা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে পতিত হওয়ায় হাসপাতালগুলিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। এর ফলে অনেকের সার্জারী বাতিল হয়ে যাচ্ছে কিংবা রিসিডিউল করে সার্জারী পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে ক্যান্সার রোগীও আছে। তাদের সার্জারী বাতিল বা রিসিডিউল করার কারনে তাদের দেহে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
সরকার নানাভাবে চেষ্টা করেছে যারা ভ্যাক্সিন নেননি তাদেরকে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনার জন্য। চার্টার অফ রাইটসের কারনে সরকার সরাসরি কাউকে ভ্যাক্সিন নিতে বাধ্য করতে পারেন না কিন্তু সরকার এমন সব নিয়ম নীতি গ্রহন করছে যাতে যারা ভ্যাক্সিন নেননি তারা ভ্যাক্সিন নিতে বাধ্য হয়।
এর মধ্যে চাকরী থেকে বরখাস্ত করা সহ নানা রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার উদ্যোগও রয়েছে।
যেমন, যাদের ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট নেই তাদের কোথাও তেমন প্রবেশাধিকার নেই।
রেস্টুরেন্টে ডাইনিং থেকে শুরু করে জিমে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট দেখাতে হয়। এই ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট ছাড়া এইসব স্থানে প্রবেশাধিকার নেই। কিন্তু এই সব উদ্যোগের পরেও কিছু মানুষ ভ্যাক্সিন নেওয়ার ঘোর বিরোধী।
সরকার নানা রকম চেষ্টার পরেও একটি অংশ আন-ভ্যাক্সিনেটেড থেকে যাবে এবং এই আন-ভ্যাক্সিনেটেডদের কারনেই অধিকাংশ মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে,হবে । সরকারের সব বিধিনিষেধ এই আন-ভ্যাক্সিনেটেডদের কারনেই।
আনভ্যাক্সিনেটেড যারা তারা কি বিষয়টি অনুধানে সক্ষম? তারা কি বুঝতে সক্ষম, তাদের কারনেই অধিকাংশ মানুষ Suffer করছে?

স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent