রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

বাড়ির দামে আবারও রেকর্ড বৃদ্ধি

টরন্টোর রিয়েল এস্টেট ফার্ম নর্থ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা অ্যামি ইয়গ্রেন বলেন আপনি যদি বিক্রেতা হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিটি বাড়ি বিক্রির আগে আপনি ভাবতে পারেন আমরা হয়তো কিছুটা স্বাভাবিকতার দিকে যাচ্ছি

গত বছরের তুলনায় বাড়ির জাতীয় গড় দাম ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছে কানাডিয়ান রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশন (সিআরইএ)। এর ফলে ফেব্রুয়ারিতে কানাডায় বাড়ির গড় দাম পৌঁছেছে রেকর্ড উচ্চতায় ৮ লাখ ১৬ হাজার ৭২০ ডলার।
বাড়িতে বসে কাজ করার সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে লোকজন উপশহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে বেশি আয়তনের বাড়ি কেনায় আগ্রহী হওয়ায় দাম বাড়ছে। তাই বলে গ্রেটার ভ্যানকুভার ও টরন্টো এরিয়ায় বাড়ির চাহিদা কমেনি। ব্যয়বহুল এই দুটি স্থান বাদ দিলে বাড়ির গড় দাম ১ লাখ ৭৮ হাজার ডলার কম দাঁড়ায়। তারপরও গত বছরের তুলনায় তা ২১ শতাংশ বেশি। গত বছর বাড়ির গড় দাম ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ ডলার থাকলেও বর্তমানে তা ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৯৫৮ ডলারে পৌঁছেছে।
টরন্টোর রিয়েল এস্টেট ফার্ম নর্থ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা অ্যামি ইয়গ্রেন বলেন, আপনি যদি বিক্রেতা হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিটি বাড়ি বিক্রির আগে আপনি ভাবতে পারেন, আমরা হয়তো কিছুটা স্বাভাবিকতার দিকে যাচ্ছি। তবে আমরা যে বাড়িগুলো বিক্রি করছি তা এখনও আমাকে বিস্মিত করছে। বিক্রেতারা এখন দারুণ অবস্থানে রয়েছেন।
সিআরইএর প্রাক্কলন অনুযায়ী, জাতীয়ভাবে এ বছর বাড়ির গড় দাম ৭ লাখ ৮৬ হাজার ডলারে পৌঁছাতে পারে। ২০২১ সালের তুলনায় তা ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। গত বছর জাতীয়ভাবে বাড়ির গড় দাম ছিল ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭৩ ডলার। তবে ২০২৩ সালে বাড়ির দাম আরও বেড়ে ৮ লাখ ১০ হাজার ৯৩৪ ডলারে পৌঁছে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডিসেম্বরে এক প্রাক্কলনে সিআরইএ বলেছিল, এ বছর বাড়ির গড় দাম ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৫ ডলারে ঠেকতে পারে। কিন্তু সরবরাহ ও চাহিদায় নজিরবিহীন ভারসাম্যহীনতার কারণে প্রাক্কলন বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান মূল্য বৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে এ প্রাক্কলনকে রক্ষণশীল বলছে সিআরইএ।
অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বিক্রির জন্য নতুন তালিকাভুক্ত বাড়ির সংখ্যা ২৩ শতাংশ বেড়ে গত মাসে ৭৭ হাজার ৩৫২টিতে দাঁড়িয়েছে। জানুয়ারিতে সংখ্যাটি ছিল ৬২ হাজার ৫৩৯। এই হিসাব তারা দিয়েছে মৌসুমি সমন্বয়ের পর। অমৌসুমি সমন্বয়ের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নতুন তালিকাভুক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৯ হাজার ৭৪৪টি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংখ্যাটি ছিল যেখানে ৬৮ হাজার ৯৮১।
মৌসুমি সমন্বয়ের ভিত্তিতে হিসাব করলে ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি হওয়া বাড়ির সংখ্যা জানুয়ারির তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৮ হাজার ২০৯টি। জানুয়ারিতে সংখ্যাটি ছিল ৫৫ হাজার ৬৫৪। অমৌসুমি সমন্বয়ের হিসাবে ফেব্রুয়ারিতে বাড়ি বিক্রি ৮ শতাংশের বেশি কমে দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৪০৩টি। গত জানুয়ারিতে সংখ্যাটি ছিল যেখানে ৫৩ হাজার ৮০৬।
সিআরইএর বিশ্বাস, চলতি বছরের পুরো সময়ে বাড়ির দাম ২০২১ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ কমে ৬ লাখ ১২ হাজার ৮০০ ডলারে দাঁড়াবে। ২০২৩ সালে তা আরও ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়াবে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ১৫০ ডলার।
This article was written by Rezaul Haque as part of the Local Journalism Initiative.

- Advertisement -

Read More

Recent