রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

স্পেশাল মিলিটারী অপারেশন

রাশিয়া ইউক্রেন অভিযানের নাম দিয়েছে ” স্পেশাল মিলিটারী অপারেশন”।
তারা বরাবরই বলে আসছে, ইউক্রেন দখল করা তাদের উদ্দেশ্য নয় বরং ইউক্রেনে সমরাস্রের ভান্ডারগুলি ধ্বংস করে দেশটির মিলিটারী বেজকে দুর্বল করে দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য।
পশ্চিমাদের সাহায্যপুষ্ট হয়ে ইউক্রেন যেভাবে সমরশক্তি অর্জন করতে যাচ্ছিল তা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাড়াতো। তাই, এই স্পেশাল অপরেশনের মাধ্যমে মূলত সেই সামরিক স্থাপনাগুলিকে টার্গেট করে ধ্বংস করা হয়েছে।
রাশিয়ার সেই লক্ষ্য এই অপারেশনের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে।
রাশিয়া এই স্পেশাল অপারেশন মে মাসের ৯ তারিখের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। এই দিনটি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ সমাপ্তির দিন, বিজয়ের দিন। তাই তারা এই দিনটিকে বেছে নিয়েছে।
এই দিনটিতে পুতিন এই স্পেশাল অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দিতে পারেন এবং বিস্তারিতভাবে এই অপরেশনে কি লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে তা বলতে পারেন। বলা বাহুল্য, এই অপরেশন সমাপ্ত করে রাশিয়া সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলে পশ্চিমারা বলা শুরু করবে রাশিয়া ইউক্রেনের জনগন এবং সেনাদের প্রতিরোধের কারনে ইউক্রেন দখল করতে ব্যর্থ হয়ে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
সেক্ষেত্রে রাশিয়ার পিঠে একটি পরাজয়ের সীল মেরে দেওয়া হবে।
রাশিয়ার জন্য সম্মানজনক প্রস্থান হতে পারে, ইউক্রেনের সাথে একটি শান্তি চুক্তিতে উপনীত হয়ে সৈন্য প্রত্যাহার করা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, পশ্চিমারা কি শান্তি চুক্তি হতে দিবেন? তারা এটি হতে দিবেন না। কারন, তারা রাশিয়াকে পরাজিত দেখাতে চায়। পশ্চিমাদের একটি advantage হচ্ছে তাদের হাতে যেমনি নাচাও তেমনি নাচে ধরনের একজন পুতুল প্রেসিডেন্ট আছে। তাকে দিয়ে শান্তি আলোচনা ভন্ডুল করে দেওয়া পশ্চিমাদের জন্য কঠিন কিছু নয়।
সেক্ষেত্রে রাশিয়ার জন্য exit কি হবে? সম্মানজনক প্রস্থানের পথ না পেলে রাশিয়া আরো ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।
রাশিয়া আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, তার অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে পড়ে গেলে তারা পরমানু অস্র প্রয়োগ করবে।
বাইডেন সরকার একটু গভীরভাবে ভাবলে দেখতে পেতেন তারা আগুন নিয়ে খেলছে। এই খেলাটা কতদূর গড়ায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

- Advertisement -

স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent