রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

সবই তোমার জন্য ডলি বেগম

 

ডলি বেগম

সমগ্রের যখন জাগরণ হয়, ব্যক্তির ক্ষুদ্র স্বার্থপরতা
তখন পালিয়ে যায়। ব্যক্তির উচ্চকণ্ঠ তখন সম্মিলিতের কোরাস ধ্বনিতে মিলিত হয়ে আকাশ বিদীর্ণকারী আকুল আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়। পরস্পরের প্রতি ব্যক্তিগত কষ্ট দূর হয়ে আলিঙ্গনে কাছে টেনে নেয় অভিমানী বুক।
কোন কোন জাতির নিস্তরঙ্গ সমাজব্যবস্থায় এরকম জাগরণ নাও হতে পারে। সময় হয়তো সেই জাগরণকে ধারণ করেনি, অথবা, সময়কে নির্মাণ করা সেই মহানায়কের আগমন সেই জাতির জীবনে ঘটেনি। আমাদের সৌভাগ্য, আমাদের বাঙালি জাতির জগৎ কাঁপিয়ে দেওয়া জাতীয় জাগরণ ঘটেছিল। সময়কে নির্মাণ করার সেই মহানায়কদের আগমনও ঘটেছিল আমাদের জাতীয় জীবনে। জগৎ জয় করা সেই জাতির অধিকাংশ প্রবাসী সদস্য আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাথা উঁচু করে নিজেদের বোধ বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে বাঙালি জাতির মহত্ত্ব, সাংস্কৃতিক তরঙ্গকে নিয়ে যাচ্ছেন মানব সমাজের শুদ্ধ সুন্দরের তীরে। কাছে টেনে নিচ্ছেন সমিল ভাবনার ভাবুককে। অনুভবের মালাকে পরিয়ে দিচ্ছেন অনুবাদের কণ্ঠহারে। বাঙালি জাতি ক্রমশ মহামানবজাতির অগ্রসর পথে এঁকে দিচ্ছেন নিজের দীপ্ত, অমোঘ ও অব্যর্থ পদচ্ছাপ।
যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা এই মহামানবসমাজের প্রধান পরিচয় নয়। প্রধান পরিচয় মানুষ।
আমরা এই সমাজে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় আছি। যদিও আমরা অনেক ক্ষুদ্রতা, হিনমন্যতা, পারস্পরিক বিচ্ছিন্নতা, দলে উপদলে ভাগ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা হতে মুক্ত হতে পারিনি; কিন্তু সময়কে নির্মাণকারী একজন ডলি বেগমের জন্য আমাদের জাগরণ এইসব সীমাবদ্ধতাকে জয় করেছে। কিশোর-কিশোরী স্কুল ছাত্র, উচ্ছ্বাস উচ্ছল অথচ একাগ্রতায় নিবিষ্ট তরুণ-তরুণী, অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ বর্ষীয়ান কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সকলেই ডলি জাগরণে উত্তাল হয়ে উঠেছিলেন এই একটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। আর কে না জানে, গণজাগরণ উত্তাল হয়ে উঠলে জয় সেখানে অবশ্যম্ভাবী! ডলিকে দিয়ে বাঙালি কমিউনিটিও সেই জয়টি নিজেদের করে নিয়েছিলেন।
এবারও এ ভাবনার ব্যতিক্রম হয়নি। এই জয় অব্যাহত থাকুক। মহামানবসমাজের অংশ হয়ে যাওয়ার এই আকাঙ্ক্ষা আমাদেরকে একটি বন্ধনে আবব্ধ রাখুক। প্রতিটি বাঙালির আজ থেকে আরো বড় পরিচয় হোক ‘মানবসন্তান’।
অভিনন্দন, ডলি বেগমের নির্বাচনের সাথে যুক্ত প্রতিটি ভাইবোনদের। আবারও অভিনন্দন ডলি বেগম।

- Advertisement -

টরন্টো, অন্টারিও, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent