অন্টারিওর এক নারী ও তার পরিবার ৫ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে টিম হর্টন্সের বিরুদ্ধে সিভিল মামলা দায়ের করেছে। গরম চা ছলকে পড়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন তিনি।
গার্ডিনার রবার্ট এলএলপির আইনজীবী গ্যাভিন টিঘে বলেন, প্রতিদিন যা ঘটে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। ওই ঘটনার শিকার ৭৩ বছর বয়সী জ্যাকি ল্যান্সিংয়ের আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন টিঘে। ২০২২ সালের ১৮ মে ১৪ আউন্স হট ব্ল্যাক টির আদেশ দিয়েছিলেন তিনি।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, অত্যধিক গরম একটি সিঙ্গেল কাপ ল্যান্সিংয়ের হাতে দেওয়া হয়। এর পরপরই কাপটি তার হাত থেকে পড়ে যায়। এর ফলে প্রায় ১৪ আউন্স গরম তরল ল্যান্সিংয়ের পেটে ও পায়ের ওপর পড়ে। পানীর পরিবর্তে ওই চা হয়ে দাঁড়ায় ক্ষতিকর পদার্থে। এতে তার শরীরের নি¤œাংশের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়।
ডিসেম্বরে ল্যান্সিং ও তার কন্যা টিম হর্টন্সের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ল্যান্সিং দাবি করেছেন, তাকে যে কাপটি দেওয়া হয়েছিল সেটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এছাড়া চা-ও অস্বাভাবিক বেশি গরম করা হয়েছিল। কর্মীরাও তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পারেননি এবং কাপের ত্রুটির বিষয়টি তাকে অবগত করেননি।
অন্টারিওর পারিবারিক আইনের আওতায় এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ল্যান্সিংয়ের কন্যা। তিনি বলেছেন, তার প্রতিবন্ধী মেয়ের বাড়তি সেবা ছাড়া তার পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব নয়। এর মধ্যেই তার মাকেও দেখাশোনা করতে হচ্ছে।
তবে টিম হর্টন্স ও গ্রিনউড এন্টারপ্রাইজ ইনকর্পোরেশনের মূল প্রতিষ্ঠান টিডিএল গ্রুপ কর্পোরেশনের তরফ থেকে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, সেবার যে মানদ- তা পুরোপুরি পালন করা হয়েছে। কাক্সিক্ষত যে সেবা তাও পূরণ করা হয়েছে। উল্টো গরম পানীয় আদেশ করার জন্য ল্যান্সিংকেই দোষারোপ করেছে। এই দুভার্গের জন্য তিনিই দায়ী বলে উল্লেখ করেছে তারা।
এ ধরনের মামলা এটাই প্রথম নয়। এ ধরনের মামলা হলে সহজেই তা জনগণের দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়। ১৯৯৪ সালের এক মামলায় ৭৯ বছর বয়সী স্টেলা লিয়েবেক অভিযোগ করেছিলেন, ম্যাকডোনাল্ডের কফি তার কোলের ওপর ছলকে পড়লে তার শরীরের অনেক অংশ পুড়ে যায়। এ বছরের গোড়ার দিকে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার এক ব্যক্তিও ম্যাকডোনাল্ডের হট কফি পড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার এক ব্যক্তি। গরম কফি ছলকে পড়ার অভিযোগে এক দশক আগে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার আরও এক নারীও ফাস্টফুড চেইনটির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।