আনোয়ার ভাই দুষ্টুমি করে বলেছিল,আহমেদ আপনার কণ্ঠ বাংলাদেশ টেলিভিশন কখনো মুছে ফেলবে না। তখন অধিকাংশ টেইপই মুছে পুনরায় ব্যবহার করা হতো।
যেহেতু ধারা বর্ননাটি নাট্যকার নুরুল মোমেন এর উপর , চলচ্চিত্রের ক্যামেরাম্যান সাধন রায় এর উপর সেহেতু টেইপটি না মুছে ফেলার আবেদন করা হয়েছে এবং সেটা থাকা মানে আপনার ধারাবর্ননায় কন্ঠটি থেকে যাওয়া।
এভাবেই বলেছিলেন বর্তমানে নিউইয়র্ক প্রবাসী আনোয়ার ভাই। তখন তিনি কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী ভাইয়ের প্রধান সহকারী প্রযোজক ছিলেন।
তাদের “অন্তরঙ্গ আলোকে” অনুষ্ঠানের অনেকগুলো পর্বে অতিথিদের জীবনী নেপথ্যে পড়ার সুযোগ তারা আমায় দিয়েছিলেন। কন্ঠ দিলেই কিছু অর্থ পেতাম তখন।
ধারাবর্ননা হচ্ছে নির্মেদ পড়ে যাওয়া। অনেক আনন্দ নিয়ে কাজটি করতাম। নাটকের পাশাপাশি অর্থ আয়ের আরেকটি উৎস।
আলী ইমাম ভাইয়ের কিছু প্রামাণ্যচিত্রেও কন্ঠ দিয়েছি আশির দশকে।
জামিউর রহমান লেমন ভাইয়ের “জন্মভূমি ” তে ধারাবর্ননা দিয়েছি অনেকগুলোতে।
এমনকি বিটিভির রমজান মাসের প্রতিদিনের ইসলামি অনুষ্ঠানেও নেপথ্যে কণ্ঠ দিয়েছি।
একটা সময় বন্ধু আমিনুল ইসলাম খোকন ছিল সিডিএল এ। সেখানে ইংরেজির ধারাবর্ননায় নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রগুলোতে বাংলা ধারাবর্ননা জুড়ে দেয়া হতো। সেখানেও নিয়মিত কন্ঠ দিতাম বন্ধুর আমন্ত্রণে । অর্থযোগ ছাড়াও এয়ার কন্ডিশন রুমে বসে বন্ধুর সাথে চুটিয়ে আড্ডা দিতাম সেই সময়টাতে।
টরন্টো এসে বাংলা টেলিভিশনে কিছু নেপথ্যের কাজ করেছি।
নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুদিবস আজ।