রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

মিলি-মিজান সংগীত সন্ধ্যা

মিলি মিজান সংগীত সন্ধ্যা

যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে,
সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া,
যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে,
যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গে নামিয়া,
মহা আশঙ্কা জপিছে মৌন মন্তরে,
দিক-দিগন্ত অবগুণ্ঠনে ঢাকা__
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

কোথাও সংগীতের আয়োজন হচ্ছে শুনলে মাঝেমধ্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতার এই চরণগুলো মনের মধ্যে বাজে। মনে হয়, কবির আক্ষেপের জবাব দিতেই যেন এই আয়োজন–নতুন রূপে, নতুন ভাবনায়। অতঃপর, আয়োজনটা যদি হয় মনোরম কোন জায়গায়, সংগীতের পেছনের মানুষগুলো যদি খেটেখুটে বাদ্যযন্ত্রীদের সাথে ঐকতানে মেতে উঠতে পারে, আর সামনের সারিতে বসে দর্শক-শ্রোতা যদি নিমগ্ন হয়ে যেতে পারে, তবে সংগীতের কী সাধ্য থেমে যাওয়ার!

- Advertisement -

তখন বারে বারে মনে হয়, গানের এই আয়োজন যদি কখনো শেষ না হয়, তবে কেমন হয়? তখন আর ক্লান্তি আসে না অঙ্গে নেমে, মহা আশঙ্কা জপে না অন্তরে, গিক-দিগন্ত প্রসারিত হতে থাকে। ইদানীং, সংগীতের আয়োজনে বাড়তি হিসেবে যুক্ত হয়েছে মহানিনাদ, বিকট শব্দে তারা আমাদের কানের দরজায় হাজির হয়, গানের পক্ষে আর তাকে অতিক্রম করে আমাদের হৃদয়ে আসার সুযোগ পায় না।

তবু, মাঝেমধ্যে নরম আয়োজনে কেউ না কেউ আমদের প্রাণের গানগুলো গায়, নজরুল-রবীন্দ্রনাথ-রজনীকান্ত থেকে শুরু করে হারানো দিনের গান। আহা! শৈশব যে ছিল বহুদিন আগে, তা যেন নিমিষে হাজির হয়। বোধকরি, তেমন এক আয়োজন হতে চলেছে মিলি-মিজানের বেলায়।

শোনা গেল, কোন ট্র্যাক না, তারা দুজন হারমোনিয়াম-তবলায় আমাদের মাতিয়ে রাখবেন বলে প্রতীজ্ঞা করেছেন। ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ কিংকোরার সাইমনভ্যালি চার্চে। স্বপ্ল বাজেটে মাঝারি আয়োজনের বেলায় এই হলটা আমার কাছে সেরা হল বলে মনে হয়।

- Advertisement -

Read More

Recent