শনিবার - জুলাই ২৭ - ২০২৪

মৃত্যুর জন্য কাছের মানুষদের সিদ্ধান্তহীনতা দায়ী

মৃত্যুর জন্য কাছের মানুষদের সিদ্ধান্তহীনতা দায়ী

ঘটনা -০১ । ২০১২ সালের কথা। বাড়ী থেকে খবর আসলো আমার মায়ের অবস্থা খারাপ বাড়ী যেতে হবে বাড়ী। বাড়ী গিয়ে দেখলাম ভাই বোন সারিবদ্ধ হয়ে কাঁদতেছে। আমার মামুকে জিজ্ঞাসা করলাম ডাক্তার কি বলেছে -উনী জানালেন ডাক্তার বলেছে আর চিকিতসা নেই-এখন যে কদিন বেঁচে থাকে।

মায়ের দিকে তাকিয়ে আমি কান্না ধরে রাখতে পারলাম। উনার পেশার মাঝে মাঝে ৪০/৫০ মাঝে মাঝে ১৬০/১৭০। আমি বললাম আমি শেষ পর্যন্ত দেখবো-যত টাকা লাগে আমি মাকে চিকিতসা করাবো। বাড়ীর আশে পাশে সবাই এসে মায়ের কাছে শেষ বিদায় চেয়ে নিলা।

- Advertisement -

তাকে নিয়ে এলাম লক্ষীপুর মেডিকেলে। সেখানকার ডাক্তার দেখে বললেন উনার শরীর ইনব্যালেন্স হয়ে গেছে। একদিন সময় দেন আমি চেষ্টা করে দেখি বাঁচার সম্ভবনা ৫০/৫০।পরের দিন ডাক্তার বললো উনাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যান। আমাদের সব চেষ্টা শেষ। সে মোতাবেক নিয়ে এলাম ঢাকা সিটি হসপিটালে। সেখানে ১০দিন আইসিউতে রাখার পর ১৬ দিনের মাথায় মা সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরলেন। বেঁচে ছিলেন আরো ০৫ বছর।

ঘটনা-০২ আমার মামীকে মাইজদি মেডিকেল থেকে চিকিতসা দেবার পর বাড়ীতে এনে এক সপ্তাহ পরে -অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। মামাতো ভাই বোন মামা -সবাই আশা ছেড়ে দিয়েছেন মামী আর বাঁচবেনা। আমি বললাম -ডাক্তার চেঞ্চ করেন হাসপাতাল চেঞ্চ করেন -টাকা না থাকলে আমি দিব।সে মোতাবেত মামী ৮/১০ অন্য হাসপাতালে চিকিতসা শেষে বাড়ী ফিরে। বেঁচে ছিলেন প্রায় ১০ বছর।

ঘটনা -০৩ দুর সম্পর্কের এক ভাগীনার ক্যান্সার ধরা পড়েছে দু বছর আগে। পিজি হাসপাতালে অবহেলায় তার চিকিতসা চলতে থাকে শ্লো গতিতে। গত ঈদে আমি বাড়ীতে গিয়ে সব কিছু শুনার পর -তার বৌ এবং ভাইকে বললাম দ্রুত ভারতে নিয়ে যা। আমার দেখা অনেক লোক ভালো হযে গেছে -টাকা পয়সার দিকে চিন্তা করে লাভ নেই। গত এক বছর ধরে তার বৌ নিব নিচ্ছি করে কাটিয়ে দিল। তাদের ভাবনায় এত টাকা দিয়ে ইন্ডিয়া না নিয়ে যদি পিজিতে ভালো হয়ে যায় ?

গত রাতে শুনলাম তার অবস্থা খারাপ হওয়াত পিজিতে জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এখন ডাক্তার বলছে তার শরীরে ৮০% জীবানু ছড়িয়ে পড়েছে। ইন্ডিয়া নিয়ে আর লাভ হবেনা -সময় শেষ পর্যায়ে -আমি তাকে আজ শেষ বারের মত দেখতে যাব কিন্তু আপসোসটা আর ক্ষোভটা মনে মধ্যে পুষিয়ে রাখা ছাড়া হয়তো কিছু্ই করার থাকবে না।

- Advertisement -

Read More

Recent