নতুন একটা ছড়া সিরিজ চালু করেছিলাম। ভূত সিরিজ। এক পর্যায়ে ভূত সিরিজের ছড়া সংখ্যা দাঁড়ালো আস্ত একটা বই হবার মতো। ভূতের ছড়াগুলোকে একত্রে সেলাই করে বইটির নাম দিয়েছি ‘আধখানা ভূত’।
বইটির প্রকাশক কিন্ডারবুক্স। গেলো বছর এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকেই বেরিয়েছিলো আমার ‘ফেল্টুস? চড় খাবি!’ বইটা।
‘আধাখানা ভূত’-এর প্রচ্ছদ করেছে প্রীতিভাজন শিল্পী আজহার ফরহাদ। ইলাস্ট্রেশন রাজীব দত্ত।
ছড়া বা গল্প লিখবার ক্ষেত্রে ভূত আমার খুব প্রিয় একটি বিষয়, বরাবরই। শিশুসাহিত্যে ভূত একটি দুর্দান্ত অনুষঙ্গ। ছোটদের উপযোগী ভূতের গল্প-ভূতের ছড়া এবং ভূতের সিনেমা খুব প্রিয় আমার। অন্যের লেখা ভূতের গল্প উপন্যাস এবং ছড়াকবিতা আমি পড়ি খুব আগ্রহ নিয়ে। নিজেও লিখেছি অনেকগুলো গল্প এবং ছড়াকবিতা, ভূতের। ভূত না থাকলে বাংলা শিশুসাহিত্য পানসে হয়ে যেতো বহু আগেই।
ছোটদের জন্যে সাহিত্য রচনা করা খুব আনন্দের। কিন্তু ছোটদের কাছে সেই সাহিত্যকে পৌঁছানোটা খুব কষ্টের। কারণ ছোটদের পক্ষে সেই সাহিত্যটি(বইটি) কেনা কিংবা পাওয়া খুব সহজ নয়। বড়রা বা অভিভাবকরা কিনে দিলেই কেবল সেটা সম্ভব। যে কারণে আমি সব সময় আমার খুদে পাঠকদের অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব করি এবং তা প্রকাশও করি।
কারণ তাঁদের কল্যাণেই আমি অতি অনায়াসে পৌঁছে যাই আমার খুদে খুদে পাঠক বন্ধুদের কাছে। এবং ছোটদের অনিন্দ্যসুন্দর ভুবনের বর্ণিল আকাশে আরো কিছু উজ্জ্বল-উচ্ছ্বল বর্ণাঢ্য রঙ ছিটানোর জন্যেই আমার একজীবনের এইসব লেখালেখি।
প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় অভিভাবক, এবারের একুশের বইমেলায় গিয়ে আপনি আপনার পছন্দের লেখকের অনেকগুলো বই নিজের জন্যে কিনবেন জানি। আপনার পরিবারের খুদে সদস্যের জন্যেও কিনুন অন্তত একটি দুটি বই, যে বইগুলো ওদের প্রিয় লেখকের লেখা।
আমি বলছি না আপনার পরিবারের ছোট্ট বন্ধুটিকে আমার লেখা বইই উপহার দিন। আমি বলছি–ওর প্রিয় কোনো একজন লেখকের অন্তত একটি বই আপনি কিনুন মেলা থেকে।
পুরো একটা জীবন ছোটদের জন্যে লিখে লিখেই পার করে দিয়েছি আমি। সেই অধিকার থেকেই বলছি–শিশুকিশোরদের জন্যে পৃথিবীর সেরা উপহার হচ্ছে বই। ওদের হাতে বই তুলে দিন।
আপনার সন্তানের জীবন দীপান্বিত হোক।
অটোয়া, কানাডা