শুক্রবার - এপ্রিল ২৬ - ২০২৪

ডারহামে জিতলেন কনজার্ভেটিভ প্রার্থী জামিল জিভানি

ডারহামের অন্টারিও রাইডিংয়ে জয়লাভ করেছেন কনজার্ভেটিভ প্রার্থী জামিল জিভানি

ডারহামের অন্টারিও রাইডিংয়ে জয়লাভ করেছেন কনজার্ভেটিভ প্রার্থী জামিল জিভানি। এই জয়ের জন্য মিত্রদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে লিবারেলট এলিটদের সমালোচনা করে বলেছেন, কর্মজীবী জীবন আরও কঠিন ও ব্যয়বহুল করে তুলেছে তারা।

ইলেকশন কানাডার প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, ৪ মার্চ উপনির্বাচনের পর হাউস অব কমন্সে বসতে যাচ্ছেন জিভানি। ৪ মার্চ সন্ধ্যার খবর অনুযায়ী, আইনজীবী ও কমেন্টেটর জিভানি ৫৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন লিবারেল প্রার্থী রবার্ট রক। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এনডিপি প্রার্থী ক্রিস বর্জিয়া।

- Advertisement -

ডারহামকে কনজার্ভেটিভদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয়। গত ২০ বছরে কনজার্ভেটিভরা যতগুলো বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে এটা তার মধ্যে অন্যতম।

কনজার্ভেটিভরা জনপ্রিয়তায় লিবারেলদের তুলনায় অব্যাহতভাবে এগিয়ে থাকার কারণে জিভানির এই সাফল্য ধরা দিল। সেই সঙ্গে কনজার্ভেটিভরা ভোটারদের কর কর্তন, বাড়ি নির্মাণ, বাজেট ঘাটতির সমস্যা সমাধান এবং অপরাধ দমনের বার্তা দিচ্ছে।

অন্টারিওর কোর্টিসে চাক’স রোডহাউস বার অ্যান্ড গ্রিলে দেওয়া বিজয় ভাষণে জিভানি বলেন, আসন্ন ফেডারেল নির্বাচনে তার কনজার্ভেটিভ পার্টিই কমিউনিটিগুলোর মূল্যবোধের সবচেয়ে ভালো প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। ২০২৫ সালের ফলে অবশ্যই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। কনজার্ভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভরের অধীনে দলটি দেশে পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

জিভানি বলেন, দেশে এখন কী ঘটছে সে নিয়ে যখন কথা বলি তখন আমার মনে হয়, লিবারেল এলিটরাই দেশের শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণির সঙ্গে প্রতারণা করছে। কর্মজীবী শ্রেণির সঙ্গে প্রতারণা করছে। এই লিবারেল এলিটদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, লিবারেল পার্টি, বৃহৎ ব্যাংক ও টেলিযোগাযোগ কোম্পানি, যারা প্রতিদিনই ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে।

অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের অধীনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কথাও উল্লেখ করেন জিভানি। প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ সরকারের কোভিড-১৯ নীতি প্রান্তিক তরুণ ও বাবা-মায়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশের পর অন্টারিওর প্রথম কমিউনিটি অপুরচুনিটিজ অ্যাডভোকেট থেকে ২০২২ সালে পদত্যাগ করেন তিনি। অন্য লিবারেল এলিটদেরও সমালোচনা করেন জিভানি। এই এলিটদের মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তাকে তোয়াক্কা না করা অধিকারকর্মী ও শিক্ষাবিদরা।

তিনি বলেন, এদেরকে চিহ্নিত করা সহজ। জিভানি তার সমর্থকদের বৈচিত্র্য, ন্যায্যতা ও অন্তর্ভুক্তি এবং পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসনের উদ্যোগের কথা বলছে, একইসঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের দিকে তাকানোর আহ্বান জানান তিনি।

সাবেক কনজার্ভেটিভ নেতা এরিন ও’টুলের ছেড়ে দেওয়া আসনের প্রতিনিধি নির্বাচনে ডারহামের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি কনজার্ভেটিভ নেতার দায়িত্ব পালন করেন। গত বসন্তে তিনি আসটি থেকে পদত্যাগ করেন।

- Advertisement -

Read More

Recent