ছড়ার খাতায় আমি লিখলাম–পাখি।
অমনি একটা মিষ্টি দোয়েল–
চুটুরপুটুর লেজ নাড়িয়েই শুরু করলো ভীষণ ডাকাডাকি!
ছড়ার খাতায় আমি লিখলাম–মিঁয়ো।
অমনি একটা দুষ্টু বেড়াল–
বললো, আমায় ডিনারে আজ ইলিশ মাছের একটা টুকরো দিয়ো!
চমকে উঠে আমি লিখলাম–ইলিশ।
অমনি একটা রূপোলি মাছ–
মিষ্টি হেসে বললো আমায়, বন্ধু রে তুই লুকিয়ে কোথায় ছিলিস!
অবাক কাণ্ড! লিখতে গেলাম–কুকি।
অমনি একটা চকো-বিস্কুট–
উঁকি মারলো। নাচতে নাচতে বললো, তুমি কেমন আছো খুকি?
কী সব হচ্ছে! যেই লিখেছি–গরু
অমনি একটা নাদুস-নুদুস–
খয়েরি রঙের হাম্বা এসে শিঙ নাড়ালো, পেট মোটা লেজ সরু!
মুগ্ধ হয়ে আমি লিখলাম–পাতা।
অমনি একটা লজ্জাবতী–
ছোট্ট সবুজ পাতায় পাতায় ঢেকে ফেললো আমার ছড়ার খাতা!
খুশি মনে আমি লিখলাম–মামা
অমনি মামা হেসে উঠলো–
জন্মদিনে কী নিবি বল্? ভালুক পুতুল? নাকি রঙিন জামা?
মজা পেয়ে আমি লিখলাম–আপু
দুই বিনুনির আপা বললো–
ঢের হয়েছে ছবি আঁকা এবার তুমি পড়তে বসো বাপু!
ছড়ার খাতায় আমি লিখলাম–উম্।
অমনি এলো রাত্রি নেমে–
আমার দু’চোখ ঘুম ঢুলুঢুল নিদ্রাদেবীর কোলে আমি, ঘুম…!
আটোয়া, কানাডা