রবিবার - এপ্রিল ২৮ - ২০২৪

তাঁরা আমার নয়নতারা, আম্মু।

আম্মু বলতো আমি হাসতাম রমজান এ আমার সবচেয়ে বড়ো আনন্দ ছিল ঘুরে ঘুরে আম্মুর জন্য ইফতার কেনা

শান্ত, এই শান্ত, কি করস? কখন আসবি বাসায়? আসার সময় বেইলি রোড দিয়া ইফতার নিয়ে আসিস।

– কি আনবো? কি খাবা?

- Advertisement -

তোর যা মন চায় আনিস। তোর ইচ্ছা মতো। একটু হালিম আনিস, জিলাপি, ব্যাম্বো ক্যাসেল দিয়া পরোটা আর ২/৩ টা তরকারি আনিস। তোর আব্বুর জন্য ব্রেন ভুনা আনিস। ছোট আস্ত মুরগির রোস্ট পাইলে দুইটা আনিস। আর বাকি তোর যা ইচ্ছা।
– আরও বাকি আছে? আম্মু এতো খাইলেতো মইরা যাবে ঠাস কইরা।

মরলে মরলাম, খাইয়া মরলাম। হাহাহা। একটু ফালুদা আনিস কিন্তু শান্ত।

আম্মু বলতো, আমি হাসতাম, রমজান এ আমার সবচেয়ে বড়ো আনন্দ ছিল ঘুরে ঘুরে আম্মুর জন্য ইফতার কেনা। আমি ইফতার নিয়ে বাসায় যাই, আম্মু একে দেয়, ওকে দেয়, আবার কিছু খাবার তুলে রাখে, আমি যেদিন রোজা থাকতাম না সেদিন সেই খাবার আবার গরম করে দিয়ে বলতো, নে খা, আর বিড়ি (সিগারেট) খাওয়াটা কমা, বিড়ি খাওয়ার জন্য তো রোজা রাখস না!

এই রকম কত স্মৃতি, কতো কথা মনে পরে। আম্মুর কথা মনে পড়লে আমার অস্থির লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় সব কথা লিখে রাখি, কিন্তু লেখা হয় না। স্মৃতি একসময় ম্লান হয়ে যায়, আমি এখনো মনে করতে পারি না, আম্মুর সাথে বাংলাদেশ থেকে আসার সময় আমার শেষ কি কথা হয়েছিলো, স্মৃতি থেকে একদম চলে গেছে।

আমার মা দোষগুনে ভরা চমৎকার একজন মা ছিলেন। আম্মু আমাকে সাহস না দিলে হয়তো আমি আজকের অবস্থানে কখনোই আসতে পারতাম না।

আজ আম্মুর চতুর্থ (৪র্থ) মৃত্যুবার্ষিকী। আজ থেকে এম্পিরিক্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। এম্পিরিক্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন মূলতঃ একটি অলাভজনক দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে।মানুষের জীবিকার উন্নয়ন এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য এই প্রতিষ্ঠান কাজ করবে।

আপনারা সবাই আমার মা’র জন্য দোআ করবেন এবং আমাকে আপনাদের অভিজ্ঞতার আলোকে গাইড করবেন যেন এম্পিরিক্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে আমরা মানুষের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারি।
আম্মু, তোমাকে অনেক মিস করি।

টরন্টো, কানাডা।

- Advertisement -

Read More

Recent